নরসিংদী রেলস্টেশনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন একদল তরুণী। কারও পরনে জিন্স-টিশার্ট, কেউ পরেছেন ট্রাউজার-টপস। তারা সেলফি তুলছেন, কথা বলছেন স্টেশনের লোকজনের সঙ্গে, হইহুল্লোড়ে মাতিয়ে তুলছেন চারপাশ।
শুক্রবার (২৭ মে) সকালে ইচ্ছেমতো পোশাক পরে রেলস্টেশনে ঘুরতে যায় তরুণীদের দলটি। স্টেশনেই আড়াই ঘণ্টা ঘুরে ট্রেনে চেপে চলে যায় দলটি। ফেসবুকে নানা গ্রুপ যুক্ত এই নারীরা পরিকল্পনা করেই ঘুরতে যান সেখানে। তাদের ঘুরে বেড়ানোর ছবি এখন ভাইরাল ফেসবুকে।
এই রেলস্টেশনেই ৯ দিন আগে জিন্সের প্যান্ট আর টপস পরার কারণে হেনস্তার শিকার হন এক তরুণী। সেই ভিডিও ভাইরাল হলে দেশজুড়ে সমালোচনা চলে। সংবাদমাধ্যমগুলো হেনস্তার খবর প্রকাশ করতে শুরু করলে ঘটনার দুদিন পর পুলিশ ও স্টেশন কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে; হেনস্তাকারীদের গ্রেপ্তারে তৎপর হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবাদে অংশ নেওয়া ১৭ জন তরুণী ও তিনজন তরুণ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। অংশগ্রহণকারীরা অগ্নি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠনের নারীবাদী গ্রাসরুটস অরগানাইজিং প্ল্যাটফর্ম মেয়ে নেটওয়ার্ক-এ যুক্ত। একটি স্টোরিটেলিং প্রকল্প হিসেবে তাঁরা পিতৃতন্ত্রে নারীর আগুনে মোড়ানো পথের গল্পগুলো তুলে আনেন। ঢাকা-নরসিংদী যাত্রা এরই একটা অংশ। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির সংগঠক ছিলেন অগ্নি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সভাপতি তৃষিয়া নাশতারান।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তরুণ-তরুণীদের নাম জানতে চাইলে তাঁরা এই প্রতিবেদককে তাঁদের সংক্ষিপ্ত নাম জানান। তাঁরা হলেন, তৃষিয়া, সুরভী, এ্যানি, আনোয়ার, অর্ণব, নুভা, মম, অপরাজিতা, সামিহা, সানজানা, স্মিতা, লক্ষ্মী, অন্তরা, মিশু, প্রমি, জিসা, নিশা, বিজু, ইফফাত, নীল। তারা একেকজন নারীবাদী, শিল্পী, সংগঠক, নাট্যকর্মী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, আলোকচিত্রী, গবেষক, উন্নয়নকর্মী ও প্রকৌশলী।
নরসিংদী রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার এ টি এম মুছা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামেন তরুণীরা। তখন আমি বসে ছিলাম রেল সিগন্যাল মাস্টারের কক্ষে। এ সময় তারা এসে জানান যে তারা বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য। হেনস্তার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে তারা এসেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: