এবছর ফরিদপুর অঞ্চলে সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা। ফরিদপুরের শীর্ষ ওলামা-কেরামদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় জানানো হয়, সমপরিমাণ আটার মূল্য হিসেবে এবছর ফরিদপুর অঞ্চলের জন্য সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ টাকা। আর কেউ যদি সমপরিমাণ খেজুর এর বিনিময় করতে চান তাহলে তিনি একজনের ফিতরা বাবদ ১৩৩০ টাকা প্রদান করবেন।
স্থানীয়ভাবে এ বছরে ফরিদপুর এলাকার রমজানের ফিতরা নির্ধারণ উপলক্ষে সোমবার শহরের চরকমলাপুরের একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ ওলামা-কেরামদের জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শায়খুল হাদিস আল্লামা হেলালুদ্দীনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাইখুল হাদীস মুফতী কামরুজ্জামান সাহেব, ফরিদপুর জেলা ইমাম কল্যান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাঈল হুসাইন, মাওলানা আমজাদ হুসাইন, মাওলানা আব্দুল মতীন মুহাদ্দিস শামসুল উলুম , মাওলানা মাহমুদুল কবির প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, নারী-পুরুষ, স্বাধীন-পরাধীন, শিশু-বৃদ্ধ, ছোট-বড় সকল মুসলিমের জন্য ফিতরা প্রদান করা ওয়াজিব। ঈদের দিন সুবহে সাদিকের পর সব সামর্থ্যবান মুমিনের ওপর ফিতরা আদায় করা আবশ্যক। এ সময়ের ঠিক আগ মুহূর্তে যদি কারো বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয় তবে ওই বাচ্চার জন্যও ফিতরা আদায় করতে হবে। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগেই ফিতরা আদায় করা সর্বোত্তম। তবে আগে থেকে ফিতরা আদায়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। গরীব, দুঃস্থ, অসহায়, অভাবগ্রস্থ ব্যক্তিকে ফিতরা প্রদান করা যাবে। বেতনভুক্ত কাজের ব্যক্তির পক্ষে ফিতরা প্রদান করা মালিকের উপর আবশ্যক নয়। তবে মালিক ইচ্ছে করলে কাজের লোককে ফিতরা প্রদান করতে পারবেন। তবে তিনি বেতন বা পারিশ্রমিক হিসেবে ফিতরা প্রদান করতে পারবেন না
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: