একমাত্র বাঘিনী ‘শাওন’র মৃত্যুতে এখন বাঘ শূন্য হয়ে পড়ল রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি বার্ধক্যজনিত কারণে বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছে।
চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বর আলী জানান, শুক্রবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড় ১০টার দিকে খাঁচাবন্দি থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বার্ধক্যজনিত কারণে শাওনের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাঘিনীটি মারা গেলে ওই রাতেই ময়নাতদন্ত শেষে চিড়িয়াখানার ভেতর পরিবেশসম্মতভাবে সেটিকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
গত এক মাসে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একটি ১টি বাঘ, ১১টি জেব্রা এবং একটি সিংহীর মৃত্যুর ঘটনায় যখন দেশব্যাপী আলোচনা সমালোচনা তখন দেশে দুটি সরকারি চিড়িয়াখানার মধ্যে একটি রংপুরের এই চিড়িয়াখানার একমাত্র বাঘিনীর মৃত্যুর সংবাদ এলো।
আম্বর আলী বলেন, বার্ধক্যের কারণে বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছে। বাঘ সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
তিনি জানান, সরকারি এই চিড়িয়াখানায় একটি মাত্র বাঘিনী ছিল। ২০০৩ সালের ৩০ জুন শাওন নামে এই বাঘিনীর জন্ম হয়েছিল ঢাকার মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায়। সে হিসাবে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ১৮ বছর ৭ মাস। ২০১০ সাল থেকে রংপুর চিড়িয়াখানায় তাকে সঙ্গীহীনভাবে খাঁচাবন্দী রাখা হলেও শেষ পর্যন্ত তাকে সুস্থ-সবলই দেখা গেছে।
তবে আবার কবে নাগাদ চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের জন্য বাঘ আনা হবে সে বিষয়ে কোন জানাতে পারেননি চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বর আলী।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে গড়ে ওঠা রংপুর চিড়িয়াখানাটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় ১৯৯২ সালে। প্রায় ২২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই চিড়িয়াখানাটিতে ৩৩ প্রজাতির ২৬০টি প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে সিংহ, বাঘ, জলহস্তী, হরিণ, অজগর সাপ, ইমু পাখি, উটপাখি, বানর, কেশওয়ারি, গাধা, ঘোড়া, ভাল্লুক উল্লেখযোগ্য।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: