নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে মডেল নির্বাচন উপহার দিতে চাচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।
শনিবার দুপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ক তথ্য জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
জায়েদুল আলম বলেন, আমরা চাচ্ছি এই নির্বাচন যেন সারা দেশে একটি মডেল নির্বাচন হিসেবে রূপ লাভ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নিরাপত্তা বলয় গঠন করেছি। শুরু থেকেই আমরা ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয়ের ভেতরে ছিলাম। নিরাপত্তায় নিয়জিত সদস্যরা আজ প্রত্যেকটি কেন্দ্রে চলে যাবেন। তাদের সঙ্গে আনসার সদস্যরা কাজ করবেন। তা ছাড়া, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন কাজ করবেন। সেই সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কাজ করবে।
প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ থেকে ৬ জন পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে আরও ১৫ থেকে ১৭ জন আনসার সদস্য, অর্থাৎ ২০ থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২২ থেকে ২৩ জন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবেন। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে এপিবিএন'র ৩টির মতো মোবাইল টিম, একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের একটি টিম থাকবে। আমরা চেষ্টা করবো প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করতে। নির্বাচনকে ঘিরে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্র, প্রত্যেকটি পাড়া-মহল্লাকে একটি নির্বাচনী নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে নিয়ে আসবো। আমাদের সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের চাহিদার বিপরীতে ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়েছেন। পাশাপাশি ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এখানে সার্বক্ষণিক কাজ করবেন। ইতোমধ্যে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন হয়েছে, আমরা আরও ৬ প্লাটুন বিজিবির কথা বলেছি। ৬ প্লাটুন বিজিবি এলে তারাও আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন—বলেন জায়েদুল আলম।
এ সময় তিনি সাধারণ জনগণ, প্রার্থী-প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, আমরা আনন্দ-উৎসবমুখর পরিবেশে একটি মডেল নির্বাচন দেশবাসীকে উপহার দিতে চাচ্ছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: