ভূতের ভয় দেখা দিয়েছে আর তাই ভয় কাটাতে মিলাদের আয়োজন করেছে কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের হোস্টেলে সোমবার সন্ধ্যায় মিলাদ হলেও বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকরা জানতে পারেন।
অধ্যক্ষ জামাল নাছের জানান, শিক্ষার্থীরা ভয় পেয়ে তাকে জানায়। পরে তিনি মিলাদের আয়োজন করেন।
কুমিল্লা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চর্থায় এই কলেজের অবস্থান। এর দক্ষিণে কুমিল্লা সদর হাসপাতাল ও সিভিল সার্জনের কার্যালয়। কলেজের পশ্চিম দিকের রাস্তা রানীর দিঘি হয়ে চলে গেছে কান্দিরপাড়ের দিকে। কলেজের একটু পশ্চিমেই সালাউদ্দিন মোড়।
অনার্স প্রথম বর্ষের একজন ছাত্রী বলেন, “বেশ কয়েক দিন ধরে হোস্টেলের মেয়েদের মধ্যে ভূতের আতঙ্ক চলছে। রাত হলে আমরা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পাই। এ আওয়াজ সহজে বন্ধ হয় না। এ অবস্থা চলতে থাকার একপর্যায়ে সোমবার সন্ধ্যায় মিলাদ মাহফিল হয়।”
একাদশ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী বলেন, “অদ্ভুত শব্দে আমাদের গা শিউরে ওঠে।। আওয়াজ শুরু হলে রাতে সবাই জবুথবু হয়ে বসে থাকি। তারপর সোমবার সন্ধ্যায় হুজুর ডেকে এনে হোস্টেলে মিলাদ পড়ানো হয়।”
সরেজমিনে দেখা গেছে, কলেজ হোস্টেলের একটি ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে সেখানে। তবে ওই ভবনে ভূত থাকে এমনটা কোনো শিক্ষার্থী দাবি করেননি।
এলাকাবাসী এই ভূতের ভয় সম্পর্কে বলেন, নেশাগ্রস্ত লোকজন ছাত্রীদের ভয় দেখাতে এমন শব্দ করতে পারে।
আর অধ্যক্ষের অনুমান হচ্ছে, “এমন হতে পারে যে, বিড়াল কান্না করে অথবা অন্য কোনো প্রাণী শব্দ করে, যে কারণে ছাত্রীরা ভয় পায়। মনের ভয় কাটাতে মিলাদ পড়ানো হয়।”
বখাটেদের আনাগোনা সম্পর্কে অধ্যক্ষ বলেন, “ক্যাম্পাসের ভেতরে এমন কিছু ঘটেনি। বাইরের সড়কে কেউ আনাগোনা করলে তাতে ভয়ের কিছু নেই।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: