কক্সবাজারের আলোচিত ধর্ষণের মামলার বাদী বলেছেন, একটি উড়োচিঠি পেয়ে ভয় পেয়ে তিনি তার স্ত্রীকে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে বলেছিলেন।
ধর্ষণের ঘটনার পর স্ত্রী-সন্তানসহ কক্সবাজারে চার দিন পুলিশি হেফাজতে থাকার পর ঢাকায় ফিরে একথা জানিয়েছেন তিনি।
রোববার রাতে ঢাকায় ফেরার পর ওই নারীর স্বামী বিভিন্ন সাংবাদিককে বলেন, ‘চাপে পড়ে’ তার স্ত্রী আদালতে ‘মিথ্যা’ জবানবন্দি দিয়েছেন।
কীসের চাপ- জানতে চাইলে ওই ব্যক্তি সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার থানার সামনে কয়েকজন তার হাতে একটি উড়োচিঠি ধরিয়ে দিয়ে যায়। চিঠিতে লেখা ছিল, আমরা যদি আদালতে মিথ্যা না বলি, তাহলে আমরা কেউ কক্সবাজার থেকে বাসায় ফিরতে পারব না।”
এই ব্যক্তি বলেন, তিনি পড়াশোনা জানেন না। চিঠিটি পাওয়ার পর তা তিনি স্ত্রীকে (ভুক্তভোগী নারী) দিয়ে পড়ে শোনাতে বলেন। স্ত্রী তাকে সেটি পড়ে শোনান। চিঠির বক্তব্য শুনে তিনি স্ত্রীকে আদালতে মিথ্যা বলতে বলেন।
এজন্য তার স্ত্রী এখনও তার উপর রেগে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার বউ সেদিনের পর থেকে আমার উপর রাগ হয়ে রয়েছে। আমি কীসের জন্য মিথ্যা বলতে বলছি, সেটা আমিই জানি।”
“আমি এ বিষয়ে আরও কঠোর তদন্ত চাই। সঠিক তদন্তেই প্রমাণ হবে আমি সঠিক নাকি ভুল,” এখন বলছেন তিনি।
চিঠিতে হুমকির খবর পুলিশকে জানাতেও ভরসা পাননি জানিয়ে এই ব্যক্তি বলেন, পুলিশ হেফাজতে তাদের সময় ‘ভালো কাটেনি’। “সদর থানায় যে একদিন ছিলাম, সেসময় আমাদের সাথে খুব খারাপ আচরণ করা হয়।
“রাত ১২টার সময় আমার বাচ্চারে নিয়া ফ্লোরের ঠাণ্ডার মধ্যে বইসা ছিলাম। সেইসময় থানার পুলিশদের সমস্যার কথা বললে তারা বলছিল, কষ্টের এখনও দেখছস কী? কষ্টের হপায় শুরু। “যেখানে পুলিশ এই ধরনের কথা বলে, সেখানেই কি বুঝা যায় না, আমাদের সাথে সামনে কী হইতে পারে?”
“ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি স্যার আসার পর আমাদের জিজ্ঞেস করা হইছিল আমরা খাইছি কি না,” বলেন তিনি। এই নারী ও তার স্বামী শুরু থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান বলছেন, “এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ৯৯৯-এ ফোন করে ওই নারী কোনো তথ্য দেননি। তিনি ও তার স্বামী আইন-শৃংখলা বাহিনীর অন্য সংস্থাকে ফোন করে তথ্য দিয়েছেন।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: