অবশেষে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন 'ভূমিহীন' হওয়ায় পুলিশের লিখিত, মৌখিক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ আটকে যাওয়া বরিশালের আসপিয়া ইসলাম।
রোববার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন আসপিয়ার নিয়োগ চূড়ান্তের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আসপিয়া বরিশাল জেলা কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন।
আসপিয়া ইসলাম নিজেও নিয়োগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসপি জানান, বরিশালের হিজলা থানার উপপরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান শনিবার রাতে আসপিয়ার হাতে নিয়োগপত্র পৌঁছে দিয়েছেন।
উপপরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান জানান, আগামী ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে আসপিয়াসহ চূড়ান্ত নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিয়ে জেলা পুলিশ লাইনসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে পাঠানো হবে। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নারী টিআরসিদের ৬ মাসের প্রশিক্ষণের জন্য রংপুরে পাঠানো হবে।
গত ১৭ নভেম্বর বরিশালে অনুষ্ঠিত পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় পঞ্চম স্থান অধিকার করে পাশ করে আসপিয়া। এরপর মৌখিক ও স্বাস্থ্য পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করলেও সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী পুলিশের গোপনীয় প্রতিবেদনে, তার 'স্থায়ী ঠিকানা' না থাকায় আটকে যায় তার চূড়ান্ত নিয়োগ।
পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তাতারুজ্জামানের সঙ্গেও দেখা করেন আসপিয়া। কিন্তু তিনিও তখন তাকে চাকরির আশা দিতে পারেননি
পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়।
পরবর্তীতে আসপিয়ার পরিবারকে জমি ও ঘর দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেওয়া হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: