ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ধলাইরচর বরকতিয়া আলিম মাদ্রাসার অফিস সহকারী মো. আকরামুজ্জামানের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের তদন্ত করে সত্যতা মিললেও অজ্ঞাত কারণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা বলে দাবী মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়দের। তারা অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারী থেকে জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরী করে আসছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন, ফরম ফিল আপসহ ভুয়া প্রত্যয়ন পত্র বিতরণ করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও করা হয় তার বিরুদ্ধে। এদিকে ২০২১ সালের ০৮ মার্চ আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তদন্তকারী দল এ বছরের ০১ জুন প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সঠিক নয় উল্লেখ করে এটা স্পষ্টতই অনিয়ম উল্লেখ করে ব্যাবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হয়। অভিযোগকারীদেও দাবী, প্রতিবেদন দাখিলের কয়েখ মাস পেরিয়ে গেলেও অদ্যবদি তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে দাবী করে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের কো-অফট সদস্য মো. বরকত আলী বলেন, কোনো অদৃশ্য কারণে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। যতো দেরীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, ততোবেশী সরকারের অর্থের অপচয় হবে। তিনি মনে করেন অপরাধী যেই হোক দ্রুত অপসারণ করা হোক।
আর শিক্ষক প্রতিনিধি মো. কোবাদ হোসেন জানান, কেউ পাপ করলে তার শাস্তি তাকেই পেতে হবে। অপরাধী যেই হোক না কেনো, তাকে আইনেও আওতায় আনা জরুরী।
ওই মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদেও সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আহাদুল হাসান জানান, আর্থিক অনিয়ম আছে বলে জানা নেই, তবে সনদে সমস্যা থাকতে পারে তাই বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষই ব্যাবস্থা নিবে।
তবে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির (আকরামুজ্জামান) দাবী, একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি কোনো অনিয়ম করেননি দাবী করেন মোবাইলে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: