ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও এক সদস্যের কর্মকান্ড নিয়ম বহির্ভুুত উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কমিটি বাতিলের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক ফকির। যদিও উত্থাপিত অভিযোগগুলো সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন অভিযুক্তরা। আর সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছে অভিযোগের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হামিরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মিলন মোল্লার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে অভিযোগকারী মো. আব্দুর রাজ্জাক ফকির জানান, এরই মধ্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদসহ সাতটি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অর্থ বাণিজ্যের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন সভাপতি।
এছাড়া নিজের অবস্থান শক্ত করতে তিনি (সভাপতি) উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে উচ্চমান সহকারী পদে কর্মরত থাকায় প্রভাব খাটিয়ে সাহাদ আলী নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে (গোপিনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেনী পর্যন্ত অধ্যায়ন করা) প্রভাব খাটিয়ে কালিয়াকৈরের একটি স্কুল থেকে ছাড়পত্র ম্যানেজ করে হামিরদী স্কুলে ছষ্ট শ্রেনীতে প্রভাব খাটিয়ে ভর্তি করতে সহায়তা করেন। ওই ছাত্রকে ভর্তির মাধ্যমে ওই ছাত্রের বাবা শাহাব উদ্দিনকে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বানিয়ে নিজের পক্ষ বারী করেন। তিনি জানান, ওই ছাত্র কখনোই হামিরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলে যায়নি এবং বর্তমানে ওই ছাত্র ভাংগা ঈদগাহ মাদ্রাসায় হেফজ অধ্যায়নরত বলেও জানান তিনি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগকারী বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করার দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে ওই শিশুর বাবা এসব বিষয়ে জানান, তার পুত্রকে হামিরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করালেও পরবর্তীতে তাকে আর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণেই সে স্কুলে যায়না। পারিবারিকভাবে তাকে আরবী লাইনে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। আর স্কুল পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর উপরোক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মিলন মোল্লা জানান, অভিযোগকারী স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কারনেই ঈর্শান্বিত হয়ে তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যেই এমন অভিযোগ তুলেছেন। তিনি আরো জানান, বিধি মোতাবেক নিয়োগের সার্কুলার দেয়া হয়েছে, সম্প্রতি আবেদন গ্রহনের সময় পেরিয়েছে, এখনি দূণীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে যা আদৌ সত্য নয়। তিনি বলেন দুর্নীতির প্রমাণ থাকলে তা নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরার বা প্রদর্শন করার দাবী করেন তিনি। তিনি কোনো ধরনের অন্যায় বা অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত নেই বলে দাবী করেন।
এদিকে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তকর্তা মো. জালাল উদ্দিন বলেন, উত্থাপিত হওয়া অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ দাবী থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: