সঠিক, সত্য, গ্রহনযোগ্য,বাস্তবিক, বিশ্বাস যোগ্য ও অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য গুলো স্থান পায় সংবাদে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সংবাদের খোঁজ রাখেন নিম্ন মধ্যে ও উচ্চ বিত্ত সকলেই। অনেকেই দেশের, দশের কিংবা রাজনৈতিক অবস্থা জানতে চোখ রাখেন গণমাধ্যমে।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় সংবাদ মাধ্যমের এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। আগেকার সময়ে সংবাদ জানতে অপেক্ষা করতে হতো কিন্তু এখন আর প্রয়োজন পড়ে না। দূর্ঘটনা ঘটেছে রাস্তায় রোগী হাসপাতালে পৌঁছানোর পূর্বেই সংবাদ চলে আসে গণমাধ্যমে এই যখন অবস্থা তখন কিন্তু তথ্যর সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার ব্যপারে অনেকেই উদাসীন থাকেন। যে কারনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো অগোচরে রয়ে যায় নয় তো ভুল তথ্য প্রচার হয় হরহামেশাই।
সংবাদের শিরোনামে এসেছে ভিন্নতা আগে দেখতাম ভিতরের তথ্যর সারসংক্ষেপ বা মূল কথা উঠে আসতো শিরোনামে এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিরোনামে থাকে রং মাখা, উসকে দেওয়া, অতি রঞ্জিত বিষয়বস্তু। বলা হয় পাঠক আকৃষ্ট করতেই এমন পন্থা। তবে এখানে বানিজ্যিক আয়ের বিষয়টা তেমন কেউ বলে না।
কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়া বদলেছে যন্ত্রপাতি কিন্তু মানুষ আধুনিক হইছে কম তাই তো সে সকল সংবাদের ভিতরে না পড়েই কমেন্ট সেকশনে অশালীন কথা আর তিরস্কার এর ছড়াছড়ি চলছে । কেউ কেউ তো চুপ করে দেখে যাচ্ছেন।
অনেক সময় দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্তিত্ব জানান দিতে কোন একটা তথ্য পেলেই পোস্ট হয়ে যায়। তথ্যর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া আগেই এমন পোস্ট অন্তত সাংবাদিক সমাজের কেউ দিতে পারে বলে আমি মনে করি না। অপরদিকে যোগাযোগ মাধ্যমে গণমাধ্যম বেড়েছে এজন্য কেউ একটা তথ্য পেলেই তাই সংবাদ বলে চালিয়ে দেয় অথচ সব তথ্য কিন্তু সংবাদ নয়। তাই তো গুজবের এত ছড়াছড়ি।
সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ, সে দর্পণে ময়লা জমলে কিন্তু আয়নায় আর সমাজের ভালো ছবি ভাসবে না তাই দ্বায়িত্বশীল হতে হবে সাংবাদিক সমাজের সকলকে। তথ্য পা-ও য়া মাত্রই সংবাদ নয়, সংবাদ তৈরি হোক তথ্য যাচাই বাছাই শেষে। শিরোনামে আকৃষ্টতা থাকুক কিন্তু তা যেন তিক্ততায় রুপ না নেয়, বজায় থাকুক গ্রহনযোগ্যতা। ধর্মীয় বিশ্বাস কে কাজে লাগিয়ে সরলতার সুযোগ নেয় সুযোগ সন্ধানীরা তাই সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি হতে পারে এমন সংবাদে শতভাগ সঠিক তথ্য সংগ্রহের পরে সংবাদ তৈরি হোক।এভাবেই সামাজিক মুক্তি আসুক সাংবাদিকতায়।
লেখক: মোঃ শফিকুল ইসলাম, গণমাধ্যম কর্মী
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: