জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নি-বীণা হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত দুই সাংবাদিকের উপর হামলা করে বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা ফোকলোর বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু নাঈম আব্দুল্লাহ'র (যাযাবর নাঈম) অনুসারীরা।
জানা গেছে, অগ্নি-বীণা হলের ১০৫ নম্বর কক্ষে আসন দখলকে কেন্দ্র করে যাযাবর নাঈম ও ইংরেজি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লোবনের উপর হামলা করে ছাত্রলীগের আরেক নেতা মাহফুজুর রাজ্জাক অনিকের অনুসারীরা। এসময় যাযাবর নাঈমসহ অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ বিল্লাহ এবং ইইই বিভাগের রিফাত আহত হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপের অনুসারীরা।
এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহের সময় দফায় দফায় দুই সাংবাদিককে মেরে আহত করে যাযাবর নাঈমের অনুসারীরা। আহত দুই সাংবাদিক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি ফাহাদ বিন সাঈদ ও জাগো নিউজ পত্রিকার প্রতিনিধি আহসান হাবিব রিয়াদ।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আহসান হাবীব রিয়াদ জানায়, সংঘর্ষ চলাকালে ২০-২৫ জন হঠাৎ এসে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সবাই একসাথে এসে বুকে লাথি মারে, চোখে এলোপাথাড়ি আঘাত করে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক ফাহাদ বিন সাঈদ জানায়, হাবীবের উপর আঘাতের পর জয়ধ্বনি মঞ্চের পিছনে দলবেধে আমার উপরও অতর্কিত হামলা চালায় যাযাবর নাঈমের অনুসারীরা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র ব্যাথার দানে আহত সাংবাদিকদের দেখতে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। এসময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি যারা নষ্ট করছে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দ্রুতই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর আহত দুই সাংবাদিকসহ আহত আরও দুই শিক্ষার্থীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: