ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চলাচলকারী ভ্যান চালকদের নিবন্ধন, আইডি কার্ড ও ইউনিফর্ম প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসময় প্রাথমিকভাবে ৫০ জন ভ্যান চালকদের মাঝে আইডি কার্ড ও ইউনিফর্ম বিতরণ করা হয়।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠ প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আমজাদ হোসেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ, সহকারী প্রক্টর মোঃ শাহাবুব আলম, প্রভাষক মিঠুন বৈরাগী, প্রভাষক মোঃ ইয়ামিন মাসুম, সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক কাজী মওদুদ আহমেদ এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত সহ অর্ধশত ভ্যানচালক।
মাসুদ রানা নামক এক ভ্যানচালক তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের একরকম আইডি কার্ড ও ইউনিফর্ম প্রদান করায় খুবই আনন্দিত। আমাদের এখন মনে হচ্ছে আমরা ক্যাম্পাসের সেবাদানকারী কর্মচারী। বক্তব্যে এক স্যার অনুরোধ করল যে সবাইকে স্যার সম্বোধন করতে - এটাও আমরা সাদরে গ্রহণ করলাম। আমরা সম্মান দিলে তো ওনারা ফিডব্যাক হিসেবে সম্মান-স্নেহ দিবেন। এটাও আশা করি যে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা আমাদের সাথে ভালো আচরণ করবে এবং আমরাও তাদেরকে সেবা দিয়ে যাব।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন , প্রক্টরিয়াল বডিকে এরকম উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কাল হয়ে থাকবে ব্যতিক্রম এই আইডিয়া। ক্যাম্পাসে চলার পথে ভ্যানচালককে চেনার সুযোগ, কে বা কারা ঘটনা ঘটালো এবং অযাচিতভাবে অঘটন ঘটালে সহজে সনাক্ত করা যাবে। সবার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানকে আড়ম্বরপূর্ণ করেছেন।
এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আজকে আমরা প্রাথমিকভাবে ৫০ জনকে আইডি কার্ড ও ইউনিফর্ম প্রদান করছি। পর্যায়ক্রমে আরো ৫০ জনকে আমরা এই নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসবো। আমাদের ভাবনাটা হলো বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে সুশৃঙ্খল রাখা যায়। দেখা যায় বিভিন্ন সময় ভ্যান চালকদের দ্বারা অপ্রত্যাশিত বিভিন্ন ঘটনা ঘটে। সেগুলোকে কিভাবে সুশৃঙ্খল রাখা যায়। ভ্যান চালকদের দ্বারা যেনো কোনো অবৈধ মালামাল যেমন: গাজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা ইত্যাদি ক্যাম্পাসে না আসে। তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তাই তাদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য আমাদের এই আয়োজন।
তিনি আরো বলেন, আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট ছিলাম তখন প্রথম শিক্ষার্থীদের মাঝে স্মার্ট কার্ড প্রদান, বঙ্গবন্ধু লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের সূচনা করে দিয়েছি তার ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। দিনশেষে আমিও একজন ইবিয়ান। আমার উদ্দেশ্যই হলো কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: