পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেছেন, রূপকল্প ২০২০-৪১ বাস্তবায়নসহ পরিবেশ রক্ষায় নানা ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। পরিবেশ রক্ষায় ডেল্টাপ্ল্যান বর্তমান সরকারের অন্যতম একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত।
বিশ্বে বাংলাদেশের শিক্ষার মান নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিশ্বের সেরা এক হাজারের মধ্যে আমাদের দেশের একটিও নাই এটি দুঃখজনক। আমাদের নাম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় আসে না এটা আমাদের জন্য কষ্টের। যিনি ভালো গবেষক তিনিই ভালো শিক্ষক। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই মিলে ভালো অবস্থানে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সকল অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা। মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক অন্যান্য সূচকেও দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় এগিয়ে রয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রীর সু-পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়েছে, যা প্রধানমন্ত্রীর একটি ঐতিহাসিক অর্জন। স্ব-অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করা হয়েছে যা আমাদের আত্মপ্রত্যয়ের প্রতীক।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারের তৈরি পরিবেশ বিষয়ক রূপকল্প ও উদ্যোগ নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। দেশের পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের তৈরি করতে হবে। তাহলেই আমরা বাসযোগ্য একটি দেশ পাবো।
বুধবার (২৯ জুন) নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের (ইএসডিএম) উদ্যোগে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২২ এবং বিভাগের ১০ বছর পূর্তি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএসডিএম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মহিনুজ্জামানের সভাপতিত্বে পরিবেশ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম। মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হানিফ মুরাদ।
অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘আমাদের এই একটিই পৃথিবী, একে রক্ষায় আমাদের সকলকে বিশেষ করে পরিবেশের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা পালন করতে হবে। বর্তমানে পদ্মা সেতুর মত বড় ধরণের স্থাপনা তৈরির সক্ষমতা আমাদের রয়েছে, তাই এখন এর পাশাপাশি টেকশই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ রক্ষার দিকে গুরুত্বারোপ করতে হবে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, এ দেশের মানুষকে সুন্দর পরিবেশ উপহার দিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে’।
নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, ‘পরিবেশ বিজ্ঞান শিক্ষা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এখন সবাই অনুভব করতে পারছে। বাংলাদেশও উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশ শিক্ষার দিকে জোর দিচ্ছে। বাংলাদেশের যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকে তার মধ্যে নোবিপ্রবি অন্যতম। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে যার অবস্থান থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা পালন করতে হবে।
পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ছাড়াও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, পরিবেশ বিষয়ক প্রদর্শনী, বৃক্ষপ্রেমি হারুন-অর-রশিদকে পরিবেশ পদক প্রদান, ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, হলের প্রভোস্ট, শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এবং ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: