জবি প্রেসক্লাবে “বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও গণমাধ্যম” বিষয়ক আলোচনা সভা 

শিবলী নোমান , জবি প্রতিনিধি | ১ এপ্রিল ২০২২, ০৯:২৭

আলোচনা সভা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত প্রগতিশীল চিন্তাধারা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সাংবাদিকদের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব এর উদ্যোগে আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও গণমাধ্যম” বিষয়ক আলোচনা সভা এবং “রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু” বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠান শুরু হয়। আলোচনা সভা শেষে “রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু” বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।

জবি প্রেসক্লাবের এমন আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে কখনো হস্তক্ষেপ করেননি। সব সাংবাদিক ফেরেশতা নন। এটি বঙ্গবন্ধুই বলেছিলেন। সেসময় কিছু পত্রিকা বের হতো যা বিকেলে ডেকে ডেকে বিক্রি করা হতো। সেগুলোতে বঙ্গবন্ধুর নামে অপপ্রচার করা হতো। সেসময় চারটি পত্রিকা বন্ধ ছিলো, কিন্তু সাংবাদিকদের বেতন বন্ধ ছিলো না, তা বঙ্গবন্ধু ব্যবস্থা করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছর বঙ্গবন্ধু দেশ শাসন করেছিলেন, তবুও যুদ্ধবিধ্বস্ত আমাদের এ দেশকে তিনি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছিলেন।

আলোচনা সভার প্রধান আলোচক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক সুভাষ সিংহ রায় গণমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জীবনী তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চে ভাষণ গণমাধ্যমে মধ্যে দিয়েই পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত পেয়েছে। এটি শুধুমাত্র গণমাধ্যমের কারণেই সম্ভব হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনা টানা ১৩ বছর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে আজ বাংলাদেশ সমীহর মর্যাদায় এসেছেন। এভাবে এগিয়ে যেতে থাকলে বাংলাদেশকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্কুল জীবন থেকেই সংবাদপত্রের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তার বাড়িতে নিয়মিত পত্রিকা যেতো। তিনি ছোটবেলা থেকেই পত্রিকা পড়তেন। বঙ্গবন্ধু যখন জেলা ছিলো তখন একদিন পর পত্রিকা যেতো। তাকে সংবাদপত্রের সংস্পর্শে আসতে দেয়া হতো না।

জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের ভালোবাসতেন, স্নেহ করতেন, শ্রদ্ধা করতেন। বঙ্গবন্ধু কখনো মাথা নত করেননি। জাতিসংঘে প্রথম বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু এ জাতিকে তৈরি করতে জন্ম নিয়েছিলেন। তার আদর্শকে বুকে ধারণ করে এ জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম। তিনি বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও গণমাধ্যম বিষয় গুলোর উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন।

জবি ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় সাংবাদিকদের পাশে রাখতেন, তাদের থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ করতেন। এ কারণে যুদ্ধের সময় সকল নিউজ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তো। এসময় তিনি জবিতে কর্মরত সাংবাদিকদের দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তব ছিলো ও ছাত্রলীগের ইতিবাচক কার্যক্রমগুল তুলে ধরার অনুরোধ জানান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাকিম ফারুকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আরমান হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন, জবি প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর