শখের মাল্টা বাগান থেকে আয় লাখ টাকা

বদিউজ্জামান রাজাবাবু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১১

সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বাঙ্গা ব্রিজ এলাকার জাকারিয়া (৪০) নামে এক কসমেটিকস ব্যবসায়ীর শখের বসে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জাকারিয়ার বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধ মাল্টার গাছ। প্রতিটি গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে দুলছে আধাপাকা মাল্টা। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডালগুলো।

জানা যায়, গত চার বছর আগে ছোট আম বাগানে ৭৫টি মাল্টা গাছ রোপণ করেছিলেন জাকারিয়া। তখন তাকে অনেকেই এসব জমিতে মাল্টা চাষ হবে না বলে হাঁসাহাঁসি করতেন। কিন্তু দেড় বছর না গড়াতেই গাছে আসতে শুরু করে সুন্দর আকৃতির মাল্টা। এ দেখে পরিচর্যায় মনোযোগী হন তিনি। মাত্র ৭৫টি গাছে গত বছর প্রায় ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন জাকারিয়া। এবার ও ভালো ফলন হয়েছে। এ প্রর্যন্ত এবছর প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন তিনি।

জাকারিয়া বলেন, আমি বর্তমানে কসমেটিকসের ব্যবসা করি। কিন্তু গাছ লাগতে আমার খুব ভালো লাগে। গত চার বছর আগে বাড়ির পাশের একটি ছোট আম বাগানে ৭৫টি মাল্টা গাছ রোপণ করেছিলাম। তখন এলাকাবাসী আমাকে খুব উপহাস করেছিল।

কিন্তু গত দুই বছরে আমি যে সফলতা পেয়েছি তা দেখে অনেকে এখন আমার কাছে মাল্টা গাছের চারা কিনতে আসছেন। সম্প্রতি আমি এ বাগান থেকে প্রায় ১ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। আশা করছি আরও ৫০ হাজার টাকা পাব।

তিনি আরও বলে, এই মাল্টা অনেক সুস্বাদু এবং আকারে অনেক বড় হয়। তাই দ্রুত ও সহজে ক্রেতা পাওয়া যায়। বর্তমানে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা মণ দরে এই মাল্টা বিক্রি করছি।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, এই এলাকার মাটি মাল্টা চাষের জন্য বেশ ভালো। তাই দিনদিন মাল্টার চাষ বড়ছে। আর এখানে ব্যাপক পরিমাণে মাল্টার চাষ হলে। দেশের বাইরে থেকে মাল্টা আমদানি কমে আসবে। এতে লাভবান হবেন এখানকার মানুষ। এখানকার মাল্টা অন্য স্থানের তুলনায় আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু। যেহেতু মাল্টার গাছে জায়গা কম লাগে। তাই আম বাগানেও মাল্টা চাষ করা যায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর