পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে যাচ্ছে।
তিনি আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংসদে সরকারি দলের সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে বলেন, সর্বশেষ ২০২০ সালে জাতির জনকের পলাতক খুনি ক্যাপ্টেন (অবঃ) মাজেদকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়। অবশিষ্ট পলাতক খুনিদের মধ্যে এখন পর্যন্ত দু’জনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে; যার মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে এবং নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছে বলে জানা যায়।
পলাতক এই খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে চলমান কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বরাবর একাধিক চিঠিও দিয়েছেন। এমনকি সাক্ষাৎকালেও তিনি এবিষয়ে তাদের ব্যক্তিগত সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রী ও সিনিয়র কর্মকর্তা পর্যায়েও এবিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখা হয়েছে। এছাড়াও ওই দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশ সরকারের যেকোন পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় পলাতক এই খুনিদের ফিরিয়ে দেয়ার ইস্যুটি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পলাতক এই খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রচলিত কূটনীতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রচলিত আইন অনুযায়ীও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে। তথাপি, এ বিষয়ে কার্যক্রম এখনো চলমান থাকায় এখনই বিস্তারিত তথ্য দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
একইসঙ্গে যেসব পলাতক খুনিদের অবস্থান সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি, তাদের অবস্থান খুঁজে বের করার জন্যেও আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: