কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে গতবছর পটাশিয়াম সার নিয়ে বিশ্বব্যাপী চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। আমরা বেলারুশ থেকে পটাশিয়াম সার কিনতে পারিনি। তখন সরকারের প্রচেষ্টায় কানাডা আমাদের জরুরি ভিত্তিতে ৫ লাখ টন পটাশিয়াম সার প্রদান করে। ফলে রবি মৌসুমে ও চলমান বোরো মৌসুমে সার সংকট দেখা দেয়নি। কানাডা বাংলাদেশে পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের নেতৃত্বে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের (সিসিসি) প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-কানাডার বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে ও বাণিজ্য সহজতর করতে কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছেন। বৈঠকে কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধিদল কানাডা থেকে ক্যানুলা আমদানির ক্ষেত্রে সয়াবিন ও পাম তেলের সমপরিমাণ আমদানিশুল্ক নির্ধারণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। বর্তমানে ক্যানুলা আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক সয়াবিন ও পাম তেলের দ্বিগুণ। এছাড়া, বাংলাদেশে ডাল রফতানি, কৃষি প্রক্রিয়াজাতে সহযোগিতা ও বাংলাদেশ থেকে শাকসবজি নেয়ার কথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি খাতে যে বিশাল অংকের ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন, তা পৃথিবীতে বিরল। অর্থনীতিতে যত চাপই আসুক, কৃষি উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ে এমন কোনো পদক্ষেপ নেবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ ও কৃষির সার্বিক উন্নয়নে বিশাল অংকের ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছেন।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, কানাডা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এঞ্জেলা ডার্ক, ট্রেড কমিশনার কামাল উদ্দিন, কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কিম ডগলাস ও পরিচালক এন্টনি রিজক উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: