চাঞ্চল্যকর সাব-রেজিস্ট্রার হত্যা, কুষ্টিয়ায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

সময় ট্রিবিউন | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:৩৫

সংগৃহীত

কুষ্টিয়া জেলায় চাঞ্চল্যকর সদর সাব-রেজিস্ট্রার নূর মহম্মদ হত্যা মামলায় চার জনের মৃত্যুদণ্ড ও এক জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হচ্ছে- কুমারখালী উপজেলার গট্টিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩৭), বানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে মো: মশিউল আলম ওরফে বাবুল ওরফে বাবলু (৪০) খোকসা উপজেলার মঠপাড়া গ্রামের ইন্তাজ আলী সেখের ছেলে নিহত সাব-রেজিষ্টারের অফিস পিয়ন ফারুক হোসেন (৩৮) ও কুষ্টিয়া হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া ওরফে গোলাম সরোয়ারের ছেলে কামাল হোসেন (৪০) এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হচ্ছে, বানিয়াপাড়া গ্রামের মো: আফাজ উদ্দিনের ছেলে মো: মনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু।

আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের বাবুর আলী গেট নামক এলাকার বাসিন্দা হানিফ আলীর চারতলা ভবনের ৩য় তলায় ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ হাত-পা বাধা গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিবুল হাসান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার পাড়ামৌলা গ্রামের বাসিন্দা মৃত: মজিবর রহমান শাহর ছেলে কামরুজ্জামান শাহ বাদি হয়ে ৯ অক্টোবর অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুণ্ডু ৫ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চার্জশীট দাখিল করেন আদালতে।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী জানান, পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে ৫ আসামীর বিরুদ্ধে আনীত কুষ্টিয়া সদর সাব রেজিষ্টার নুর মোহম্মদ হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার দায়ে ১ জনের যাবজ্জাীবন কারাদণ্ডাদেশসহ অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। এ রায় ঘোষণার সময় বিজ্ঞ আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে সরকারী দপ্তরে কর্মরতরা দপ্তর বহির্ভুত প্রভাবশালী মহলের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা হাসিল করতে সয়ং নিজের সহকর্মীকে হত্যাকান্ডে প্রবৃত্ত হয়েছেন এটা খুব দুঃখজনক।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: