তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের ১৬ হাজার কমিউনিটি হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু এবং ২ হাজারের বেশি হাসপাতালকে ডিজিটাল পদ্ধতির অধীনে আনা হবে।
বুধবার (১৪ জুলাই) করোনাকালে স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটালাইজেশন নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের চিকিৎসা খাতকে পুরোপুরি প্রযুক্তিনির্ভর করা হবে উল্লেখ করে বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করণের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হবে দেশের প্রতিটি হাসপাতাল।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সেন্ট্রালাইজড হেলথ ম্যানেজমেন্ট সফপ্টওয়্যারের মাধ্যমে মেডিসিন ও ডায়াগনসিস রেকর্ডগেুলো ইন্টারঅপারেবল সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও সরকারি ও বেসিরকারি হাসপাতালের মধ্যে তথ্য আদানা-প্রদান এবং প্রত্যেক নাগরিক যেন তার হেলথ রেকর্ড ডিজিটালি সংরক্ষণ করতে পারেন সে উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে সমন্বিত ভাবে প্রায় ১৬শ’ কোটি টাকার ডিজিটাল হেলথ ফর নেশন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এর অধীনে পরীক্ষামূলকভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ ধরনের স্থাস্থ্য সেবা ডিজিটাল করা হচ্ছে। পরবর্তীতে প্রতিটি জেলা-উপজেলা হাসপাতালে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরো জানান, আইসিটি বিভাগের নিজস্ব উদ্যোগে গত করোনাকালীন ১৬ মাসে তথ্য ও সেবা সবসময় হেল্পলাইন ৩৩৩ এর মাধ্যমে ৬০ লাখের অধিক মানুষ সেবা নিয়েছে। আইসিটি বিভাগের তৈরি ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’ অ্যাপে ৯৮ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন নিতে নিবন্ধিত হয়েছেন।
সেমিনারে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক এবিএম মাকসুদুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইসমাইল খান, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক ও ই জেনারেশনের শামীম আহসান প্রমুখ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: