বর্তমান সময়ে কেউ কারও সাইবার নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে যতই পলিসি করি না কেন, সেগুলো বাস্তবায়নে জনগণের সচেতনতা জরুরি। বর্তমানে এমন একটা সময় পার করছি, যখন কেউ কারও সাইবার নিরাপত্তা দিতে পারবে না। প্রত্যেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব সতর্কতায় সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ‘সাইবার সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতে প্রত্যেকেই সচেতন হওয়া জরুরি। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে এ দায়িত্ব নিতে হবে। আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে তাদের সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপারে সচেতন ও দক্ষ করে তুলতে হবে।
যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিটিআরসি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এ সচেতনতামূলক কর্মসূচি করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের সাড়ে চার বিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। বর্তমান সময়টাই তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের। ইন্টারনেট ছাড়া এখন একটি দিনও কল্পনা করা যায় না। সুতরাং আমাদের সাইবার দুনিয়া সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
অধ্যাপক লুৎফর রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব ঘটছে। এখনই সময় সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার। আজকের সেমিনার ও কর্মশালা থেকে তরুণ প্রজন্ম সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে বলে আশা করি।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুল ইসলাম ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন। বিটিআরসির কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ছিল সাইবার নিরাপত্তা-বিষয়ক সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, প্যানেল আলোচনা, গুগল হ্যাকাথন কনটেস্ট, সাইবার সিকিউরিটি সচেতনতা প্রজেক্ট প্রদর্শনী এবং ক্যাপচার দ্য ফ্ল্যাগ প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে শতাধিক দল অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট, বিটিআরসির কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এদিকে, বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন প্রমুখ। সমাপনী অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইবার ক্রাইম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মুশফিকুর রহমান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: