চীনের যে মহাকাশ রকেটটি অনিয়ন্ত্রিতভাবে পৃথিবীর দিকে আসছিল, তা খণ্ডবিখণ্ড হয়ে ভারত মহাসাগরে পড়েছে। লং মার্চ ফাইভবি ইয়ো-২ নামের বিশাল আকৃতির অনিয়ন্ত্রিত ওই রকেটটির পৃথিবীর দিকে আসার বিষয়টি নজরদারি করছিলো যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ট্র্যাকিং সাইটগুলো।
গত মাসে এই রকেটটি চীনের নির্মাণাধীন স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনের একটি অংশ নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি জানিয়েছে, লং মার্চ ফাইভবি ইয়ো-২ নামের এই রকেটটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ সময় সকাল আটটা ২৪ মিনিটের সময়। চায়না ম্যানড স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোয় খবর প্রকাশ করা হয়েছে যে, রকেটের অবশিষ্টাংশ ভারত মহাসাগরে পড়েছে, যদিও বড় একটি অংশ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় ধ্বংস হয়ে গেছে।ভারত ও শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সমুদ্রে অবশিষ্ট অংশগুলো পড়েছে।
চীনের সিনহুয়া বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, রকেটের টুকরো পড়ার অবস্থান হচ্ছে দ্রাঘিমাংশ ৭২.৪৭ ডিগ্রি পূর্ব এবং অক্ষাংশ ২.৬৫ ডিগ্রি উত্তর।সাগরের যে অংশে রকেটের টুকরো পড়েছে বলে বলা হচ্ছে, তা মালদ্বীপের কাছাকাছি পশ্চিমে অবস্থিত।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক তথ্য গ্রহণ করে পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা স্পেস-ট্রাক রকেটের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের তথ্য নিশ্চিত করেছে। টুইট বার্তায় সংস্থাটি বলছে, ''যারা লং মার্চ ফাইভবি-র পৃথিবীতে প্রবেশের বিষয়টি নজরদারি করছিলেন, তারা সবাই এখন আরাম করতে পারেন। রকেটটি ধ্বংস হয়েছে।''
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছিলেন যে, রকেটের টুকরোগুলো পৃথিবীর সমুদ্রেই পড়তে যাচ্ছে, যেহেতু পৃথিবীর ৭০ শতাংশই পানি। তবে অনিয়ন্ত্রিত এই রকেটের পৃথিবীর দিকে আসার ঘটনায় অনেকে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। কারণ এ থেকে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত,যদিও সে সম্ভাবনা খুব কম ছিলো।এদিকে কক্ষপথ থেকে রকেট পড়ে যাওয়ার জন্য চীনের দায়িত্বে অবহেলাকে দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। গত বছর আরেকটি লং মার্চ রকেটের একটি টুকরো পড়েছিল আইভরি কোস্টের একটি গ্রামে, যেখানে কোন হতাহত না হলেও স্থাপনার ক্ষতি হয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: