তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ৩-০'তে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। দেশের বাইরে সবশেষ ২০০৯ সালে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ পায় টাইগাররা। আবারও সেই আনন্দে উদ্বেলিত তামিম-সাকিব-লিটনরা। এই জয়ে বিশ্বকাপ সুপার লিগের পুরো ৩০ পয়েন্ট অর্জন করল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবারের ম্যাচে ১২ বল হাতে রেখে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৯৯ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যায় টাইগাররা। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন পর বিদেশের মাটিতে আবারও হোয়াইটওয়াশ করার দারুণ অভিজ্ঞতা পেল তামিম ইকবালের দল।
তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে হারারেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগেই অলআউট হয়ে যায় স্বাগিতকরা। ৪৯.৩ ওভারে ২৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে তারা। ওপেনার চাকাভার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় স্বাগতিকরা। অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়লেও হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন চাকাভা। ব্যক্তিগত ৮৪ রান করে তাসকিন আহমেদের বলে ফিরে যান তিনি। চাকাভার পর দলের হাল ধরেন সিকান্দার রাজা ও বার্ল।
এই দু'জনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বড় পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। ষষ্ঠ উইকেটেই রাজা ও বার্ল যোগ করেছেন ১১২ রান। সিকান্দার রাজার ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান। এছাড়া রায়ান বার্ল করেন ৫৯ রান।
বাংলাদেশের হয়ে সাইফউদ্দিন এবং মুস্তাফিজ পেয়েছেন ৩টি করে উইকেট। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন ২টি উইকেট।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশও পায় দারুণ সূচনা। দুই ওপেনার তামিম ও লিটন সতর্ক ব্যাট চালাতে থাকেন। দু'জন মিলে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। মাধেবেরের বলে আউট হওয়ার আগে লিটন করেন ৩২ রান। লিটন বিদায় নিলেও একপ্রান্তে দুর্দান্ত খেলেছেন অধিনায়ক তামিম।
লিটন ফেরার পর সাকিবের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। তবে ৪২ বলে ৩০ রান করে ফিরে যান আগের ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক সাকিব। সাকিব ফিরলেও রান সংগ্রহে অবিচল ছিলেন তামিম। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি। ৮৭ বলে সেঞ্চুরি করার পথে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এটিই তামিমের প্রথম সেঞ্চুরি। আর দেশের বাইরে সপ্তম সেঞ্চুরি। মূলত তামিমের ব্যাটেই জয়ের ভিত গড়ে যায়। তবে হঠাৎই ছন্দ হারায় বাংলাদেশ। পরপর দুই বলে সাজঘরে ফিরে যান তামিম ও মাহমুদউল্লাহ। ৯৭ বলে ১১২ রান করে ফিরতে হয় তামিমকে। আর ২০০তম ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহকে এদিন শূন্য রানে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়।
এরপর বাংলাদেশকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন নুরুল হাসান সোহান আর মোহাম্মদ মিঠুন। তারা দু'জনে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। ৫৭ বলে ৩০ রান করে ফিরে যান মিঠুন। এরপর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জয়ের বন্দরে তরী ভেড়ান নুরুল হাসান সোহান। সোহান অপরাজিত ৪৫ রান আর আফিফ ২৬ রান নিয়ে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: