ক্রীড়াঙ্গনকে ডোপিংমুক্ত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

সময় ট্রিবিউন | ৮ জুলাই ২০২১, ০৪:৫৪

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সরকার ক্রীড়াঙ্গনকে ডোপিংমুক্ত রাখতে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল । তিনি বলেন, আমরা এটি দমনে নিরলস কাজ করে চলেছি।

তিনি আরও বলেন, সরকার সবসময় ক্লিন স্পোর্টসের ব্যাপারে মনোযোগী এবং স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন খেলাকে উৎসাহ দিয়ে আসছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ক্রীড়াঙ্গনকে ডোপিং মুক্ত করার লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।

আমরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহ থেকে সহযোগিতা আশা করছি। আমরা ওয়ার্ল্ড এন্ট্রিডোপিং এজেন্সির প্রদত্ত নির্দেশিকা অনুসরন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

তিনি আজ বুধবার দুপুরে ওয়ার্ল্ড এন্টি-ডোপিং এজেন্সি ( WADA) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রেও দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর বদৌলতেই।

প্রধানমন্ত্রী সব সময় খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং প্রায়ই তিনি নিজ নিজ অঙ্গণে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখা ক্রীড়াবিদদের অনুপ্রাণিত করেন। দেশের ক্রীড়াঙ্গণের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তীব্র অনুরাগ সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গণে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

আমাদের যুবারা সম্প্রতি বিশ্বকাপ জিতেছে। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে রেকর্ড সংখ্যক স্বর্ণপদকও অর্জন করেছি আমরা।’

তিনি বলেন, আমরা সকলেই সংক্রামকের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। ডোপিং কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, খেলাধুলার চেতনাকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। আর তাই বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনকে ডোপিংমুক্ত রাখতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।

আলোচনা সভায় ওয়ার্ল্ড এন্টি-ডোপিং এজেন্সি ( WADA) এর প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট, মহাপরিচালক, এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যবৃন্দ ছাড়াও জাপান, মালদ্বীপ, কম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, ভিয়েতনাম, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের ক্রীড়া মন্ত্রীগণ বক্তব্য প্রদান করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর