আগের তিন সেমিফাইনালে রান না পাওয়ায় অনেকেই বলাবলি করছিল, বড় ম্যাচে বিরাট কোহলি চাপ নিতে পারেন না। নিন্দুকদের মুখে চুনকালি মাখিয়ে দিয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিলেন কিং কোহলি। পূর্বসূরি শচীন টেন্ডুলকার ২০ বছর আগে যে কীর্তি গড়েছিলেন, তা ভেঙে দিলেন তিনি।
চলতি বিশ্বকাপে রেকর্ড গড়ার নেশায় পেয়েছে বিরাট কোহলিকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শচীনের সর্বোচ্চ ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন বিরাট। এবার এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও নিজের করে নিলেন ভারতীয় ব্যাটিং মায়েস্ত্রো। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮০ রান পূর্ণ করেই এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেলেন কোহলি।
২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতকে ফাইনালে তোলার পথে ৬৭৩ রান করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। এক বিশ্বকাপে সেটিই ছিল কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান। চলতি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেই সেই রান টপকে গেলেন তিনি।
আজকের ম্যাচের আগে ৯ ম্যাচে ৫৯৪ রান করেছিলেন কোহলি। গ্লেন ফিলিপসের করা ৩৪তম ওভারের তৃতীয় বলে একটি রান নিয়ে শচীনকে ছাড়িয়ে যান তিনি।
২০০৩ বিশ্বকাপে ১১ ইনিংসে ৬১.১৮ গড়ে ৬৭৩ রান করেছিলেন শচীন। একটি সেঞ্চুরি ছাড়াও হাঁকিয়েছিলেন ৬টি হাফ সেঞ্চুরি। বিরাট এক ইনিংস কম খেলেই তাকে ছাড়িয়ে গেলেন। ১০ ইনিংসে ২ সেঞ্চুরি ও ৬ হাফ সেঞ্চুরিতে তিনি এই রান করলেন।
একই দিনে শচীনের আরও একটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন কোহলি। ২০০৩ বিশ্বকাপেই ৭ ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছিলেন শচীন। এক বিশ্বকাপে সেটিই সর্বোচ্চ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের রেকর্ড ছিল, যা পরবর্তীতে পুনরাবৃত্তি করে দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। চলতি বিশ্বকাপে এর আগের নয় ইনিংসে সাতবার পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন কোহলি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরও একটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে সেই রেকর্ডও এককভাবে নিজের করে নিয়েছেন তিনি।
২০০৩ বিশ্বকাপে শচীনের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসগুলো ছিল এমন - ৫২, ৮১, ১৫২, ৫০, ৯৮, ৯৭, ৮৩। সাকিব ২০১৯ সালে মাত্র ৮ ইনিংস খেলেই সাতবার পঞ্চাশ ছাড়িয়েছিলেন। তার ইনিংসগুলো ছিল এমন - ৭৫, ৬৪, ১২১, ১২৪*, ৫১, ৬৬, ৬৪।
আজকের আগে কোহলির সেই সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস হলো- ৮৫, ৫৫*, ১০৩*, ৯৫, ৮৮, ১০১*, ৫১।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: