দেশের পুরুষ ক্রিকেট দল যখন বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে একের পর এক ম্যাচ হেরে দেশকে হতাশায় ডুবিয়েছেন, ঠিক তখন নারী ক্রিকেটাররা দিয়েছেন খানিক স্বস্তির সুবাতাস। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজে জয় পেয়েছিল জ্যোতি-ফারজানারা। তবে এর মাঝেও ছিল আক্ষেপ। লম্বা সময় ধরে বেতন পাচ্ছেন না নারী ক্রিকেটাররা, এমন অভিযোগও শোনা গিয়েছিল জোরেশোরে।
বলা হচ্ছিল, গত ৫ মাস বেতন হচ্ছে না নারী ক্রিকেটারদের। এটা সত্য কিনা জানতে যোগাযোগ করা হয় বিসিবির নারী বিভাগের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরি নাদেলের সঙ্গে। জবাবে তিনি বলেন, 'এটা সত্য আসলে। তবে আমি বিষয়টি জানতাম না, বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ৫ মাস আগে নতুনভাবে বেতনের তালিকা দিয়েছিলাম, এরপর বোর্ডে এপ্রুভ করার পরে হবে বেতন। আমরা তো দিয়ে দিয়েছি সব। আমাকে কেউ আসলে আর ইনফর্ম করেনি পরে।'
নাদেলের সঙ্গে বিসিবি সভাপতির নির্দেশ দ্রুত এর সমাধান করার, 'এটা বোর্ড থেকেই পরে একাউন্টসে পাঠানোর কথা। তবে মেয়েরা এটা নিয়ে কোনো কথা বলেনি, কোনো ইস্যু বানায়নি। তাদের সাথে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। বোর্ডে আমার পক্ষ থেকে যা দেওয়ার সেটা আমি দিয়েছি। সিইওকে বলেছি দ্রুত এর সমস্যা সমাধান করতে। পাপন ভাইকেও বলেছি, ওনিও এটার সমাধানের জন্য আদেশ দিয়েছেন।
তাহলে কবে নাগাদ এই বকেয়া বেতন পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা এমন প্রশ্নে নাদেল বলেন, 'বলা যাচ্ছে কাল পরশুর মধ্যেই মেয়েরা বকেয়া বেতন পেয়ে যাবে। দুই দিনের মধ্যেই তারা বেতন পেয়ে যাবে।'
উল্লেখ্য, গত জুন মাসের বৈঠক শেষে দেশের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসে। সব ক্যাটাগরিতেই বাড়ানো হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ করে। কিছু ক্ষেত্রে ২০ শতাংশের বেশি। একই সঙ্গে সবগুলো রাউন্ড ফিগার করে দেওয়া হয়েছে।
আগে 'এ' ক্যাটাগরিতে ছিল ৮০ হাজার, সেটা বর্তমানে এক লাখ। ‘বি’ ক্যাটাগরি ৬০ হাজার থেকে এখন ৭৫ হাজার, ‘সি’ ক্যাটাগরি ৩৫ হাজার থেকে এখন ৫০ হাজার ও ‘ডি’ ক্যাটাগরি ২৫ হাজার থেকে এখন ৩০ হাজার টাকা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে ম্যাচ ফিও। আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ম্যাচে ৫০ হাজার এবং ওয়ানডে ম্যাচের ফি এক লাখ টাকা করা হয়েছে। আগে অবশ্য ম্যাচ ফি দেওয়া হতো ডলারে। টি-টুয়েন্টিতে ১৫০ ডলার এবং ওয়ানডেতে ৩০০ ডলার ম্যাচ ফি পেত মেয়েরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: