বিশ্বকাপে টানা হার। অর্থাৎ, আসরের প্রথম ম্যাচে আফগানদের পরাজিত করার পর টানা ৬ ম্যাচে নিজেরা পরাজিত হয়েছে। এরপর নিজেদের অষ্টম ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে ম্যাচটাকে কঠিন করে। আর বাংলাদেশের জয়কে ছাপিয়ে অ্যাঞ্জেলা ম্যাথসের টাইমড আউট বেশি আলোচনায় ছিল। অবশেষে, ৩ উইকেটের জিতলো টাইগাররা। ওয়ানডে বিশ্বকাপে এটাই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রথম জয়।
দলের পক্ষে নাজমুল হোসেন শান্ত সর্বোচ্চ ১০১১ বলে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ৬৫ বলে ৮২ রান করেন। মূলত সাকিব-শান্তর ১৬৯ রানের জুটিই বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রেখেছে।
লঙ্কানদের পক্ষে মাধুশঙ্কা ১০ ওভার বল করে একটি মেডেনসহ ৩ উইকেট নেন। এছাড়া অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস ও থিকসানা দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে দিল্লীতে বিশ্বকাপের ৩৮তম ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ। দিল্লীর দূষিত আবহাওয়ার মাঝে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস জিতে সাকিব আল হাসান ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা ৪৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭৯ রান করে। দলের পক্ষে আশালঙ্কা সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেন ১০৪ বলে।
দুই দলের বিশ্বকাপে আর কিছু পাওয়ার নেই। এখন তারা একই টার্গেটে লড়বে। তা হলো ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ান্স ট্রফি। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই দারুণ ব্রেক থ্রু এনে দেন শরীফুল। শরীফুলের বলে সুপারম্যানের মতো উড়ে গিয়ে কুশল পেরেরার দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন মুশি। কুশল ৪ রানে মাঠে ছাড়েন।
এরপর এরপর বড় জুটির আভাস দিয়ে খেলতে থাকে কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। কিন্তু অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বলে শরীফুলের ক্যাচে ৬১ রানের জুটি ভাঙে।
৬৬ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটলে স্কোর বোর্ডে আর ৬ রান যোগ হতেই এরপর আঘাত হানেন আরেক সাকিব (তানজিম হাসান সাকিব)। তিনি বিশ্বকাপে এটি তার অভিষেক ম্যাচ।
আর অভিষেকেই উইকেট দখল করলেন পাথুম নিশাঙ্কার। নিশাঙ্কা হাফ সেঞ্চুরির দিকেই যাচ্ছিলেন। তিনি ৩৬ বলে ৪১ রানে তানজিম সাকিবের বলে বোল্ড আউট হয়ে যান দলীয় ৭২ রানে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে বিতর্ক শুরু হলো ২৪.২ ওভারে। সামারাবিক্রমাকে সাকিবের বলে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচে পরিণত করার পর মাঠে নামেন অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুউজ। এরপর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি কোনও বল মোকাবেলা না করায় তাকে টাইম আউট দেওয়া হয়। ২১৩ রানের মাথায় ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে স্ট্যাম্পড করে দেন মুশফিক। ২৫৮ রানে শরীফুলের শিকার হন থিকসানা। দলের সেঞ্চুরিয়ান ১০৮ রানে থামেন দলীয় ২৭৮ রানে।
বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে অভিষিক্ত তানজিম সাকিব ১০ ওভারে ৮০ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করেন। এছাড়া অধিনায়ক সাকিব ও শরীফুল ২টি করে উইকেট দখল করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: