দ্বিপক্ষীয় সিরিজে আগেও পাকিস্তানকে হারানোর নজির ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। এবার প্রথমবারের মতো তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতে নিয়েছে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজ (শুক্রবার) চট্টগ্রামের শহীদ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সফরকারীদের ২০ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
এদিন আগে ব্যাট করে টাইগ্রেসরা নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১২০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায়। জবাবে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের ইনিংস থেমেছে বরাবর ১০০ রানে। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন বিসমাহ মারুফ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান।
বাংলাদেশের লক্ষ্য তাড়ায় এদিন শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল পাকিস্তান। দলীয় মাত্র ৩ রানেই ওপেনার নাতালিয়া পারভেজকে বোল্ড করে দেন টাইগ্রেস পেসার মারুফা আক্তার। এরপর ব্যক্তিগত ৯ রানে ওপেনারি সিদরা আমিন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রাবেয়া খানের ঘূর্ণিতে। পরে মুনিবা আলী ও অধিনায়ক নিদা দারও অল্প সময়ের ব্যবধানেই ফিরে যান।
নিদাকে বোল্ড করেন রাবেয়া এবং মুনিবা পড়েছেন সোবহানা মোস্তারীর রান আউটের ফাঁদে। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটার বিসমাহ। কিন্তু সতীর্থদের যাওয়া-আসা দেখে টিকতে পারেননি তিনিও। ফাহিমা খাতুনের বলে বিসমাহ ৩০ রানে উইকেটরক্ষক জ্যোতির হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন। শেষদিকে ইরাম জাভেদ ও উম্মে হানি কিছুক্ষণ চেষ্টা করলেও হার এড়াতে পারেনি সফরকারীরা। ইরাম ১৫ এবং উম্মে হানি করেছেন ১৪ রান।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান। এছাড়া মারুফা ও ফাহিমা খাতুন একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছিল জ্যোতির দল। আজ দিনের শুরুতে টস জিতে ফিল্ডিং করতে নামে পাকিস্তানের মেয়েরা। বিপরীতে শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল দুই টাইগ্রেস ওপেনার। তবে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৮ রান করে ফিরে যান শামীমা সুলতানা। এরপর সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মুর্শিদা খাতুন। যদিও তাদের সেই জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৫৪ রানের মাথায় ১৬ রান করে ফেরেন সোবহানা।
সঙ্গীকে হারিয়ে এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুর্শিদাও, তিনি ফিরে যান ২০ রান করে। ৬৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলীয় ৭১ রানে অধিনায়ক জ্যোতিকেও হারায় বাংলাদেশ। এদিন তার ব্যাটে এসেছে মোটে ১০ রান। এরপর দলের হাল ধরেন স্বর্ণা আক্তার এবং রিতু মনি। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটেই বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখতে থাকে টাইগ্রেসরা।
স্বর্ণা-রিতুর জুটি ভাঙে ৩৮ রানে। রিতু ১৯ রান করে ফিরে যান। তবে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত ব্যক্তিগত ২৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন স্বর্ণা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২০ রান।
পাকিস্তানের হয়ে দিয়ানা বেগ নেন ২টি উইকেট, এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল, উম্মে ই. হানি এবং নাসরা সান্ধু।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: