বিগত বছরের মতো এবারও তাজিয়া মিছিল না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলো সরকার। গেলো বছরে হোসেনি দালানের ভেতরেই মিছিল করেন শিয়া সম্প্রদায়। কিন্তু সকাল থেকে পুরান ঢাকার ইমামবাড়া হোসেনি দালানে জড়ো হতে থাকেন শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানরা। তবে এবার নিষেধাজ্ঞা ভেঙে সড়কে তাজিয়া মিছিল করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে শত শত মানুষ হোসেনি দালানের ভেতরেই মিছিল করেন। সেই মিছিল থেকে অনেকেই বের হয়ে সড়কেও মিছিল করেছেন। কোনও কোনও জায়গায় পুলিশ বাধা দিলেও তাদের উপেক্ষা করে মিছিল বের হয়। বিক্ষিপ্তভাবে চকবাজার, লালবাগ, আজিমপুর এলাকায় মিছিল করেন তারা।
ইসলামি ইতিহাসে হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মুহররমের দশ তারিখকে আশুরার দিন বলা হয়। ৬১ হিজরি সালের এ দিনে মহানবী (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা.) কারবালার ময়দানে নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন। এই শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে সারা বিশ্বে মুসলিমরা আশুরাকে ত্যাগ ও শোকের দিন হিসেবে পালন করেন। দেশে শিয়া সম্প্রদায় মুহররম মাসের প্রথম দশদিন শোক স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করেন। করোনা মহামারিতে এ আয়োজন হচ্ছে সীমিত আকারে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে ইতোপূর্বে আরোপিত বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। একইসঙ্গে পবিত্র মুহাররম উপলক্ষে সকল প্রকার তাজিয়া মিছিল, শোভাযাত্রা, মিছিল ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণপূর্বক আবশ্যক সকল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিপালিত হবে।
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের নির্দেশনা থাকলেও তা ছিলো উপেক্ষিত। হোসাইনি দালানে অনেকে ছিলেন মাস্ক ছাড়া। আর মানুষের ভিড় ছিলো অনিয়ন্ত্রিত। শোকের স্মৃতি নিয়ে হোসাইনি দালানের সীমানার ভেতরেই হয় তাজিয়া মিছিল। বুক চাপড়ে মাতম করছেন তারা। বেশির ভাগ মানুষ কালো পোষাকে এসেছেন শোকের বহিঃপ্রকাশে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: