কোরআন তিলাওয়াত ফজিলতপূর্ণ কাজ। বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াতকারীদের আল্লাহর পরিজন বলা হয়েছে হাদিসে। আনাস বিন মালিক রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কিছু মানুষ আল্লাহর পরিজন। সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল, তারা কারা? তিনি বলেন, কোরআন তেলাওয়াতকারীরা আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস, ২১৫)
কোরআন তিলাওয়াতের সময় তা মনোযোগ সহকারে শোনার কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘যখন কোরআন তিলাওয়াত করা হয়, তখন কান লাগিয়ে শোনো এবং চুপ থেকো।’ (সূরা আরাফ, (৭), আয়াত, ২০৪)
কোরআন তিলাওয়াতের সময় সবধরনের পার্থিব ব্যস্ততামুক্ত হতে বসতে হয়। এ সময় নিজের ভেতর গাম্ভীর্যতা নিয়ে আসা জরুরি এবং মনে মনে এই কথা খেয়াল রাখতে হবে যে, আমি আল্লাহর বাণী পাঠ করছি, তিনি তা শুনছেন।
কোরআন তিলাওয়াতের সময় নারীদের মাথায় কাপড় থাকা বা পুরুষদের মাথায় টুপি রাখাও জরুরি নয়। তবে কোরআন তিলাওয়াতের আদব ও হকগুলো ঠিকমতো আদায় করা জরুরি। আর নারীর পুরো শরীর যেহেতু সতরের অন্তর্ভুক্ত, তাই কোরআনের আদবের প্রতি খেয়াল রেখে আলেমরা নারীদের মাথায় কাপড় রাখা এবং পুরুষদের মাথায় টুপি রাখার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
আলেমদের মতে, যিনি কোরআন তিলাওয়াত করছেন, তার সাজসজ্জা এমন হওয়া উচিত যেন তাকে দেখে মনে হয় তিনি নিজেকে অন্য সব কাজ থেকে একেবারে মুক্ত করে নিয়েছেন এবং নিজেকে আল্লাহমুখী করে ধর্মীয় পোশাক-আশাকে আবৃত্ত করেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: