ভালো এবং কল্যাণের কাজ গুরুত্ব দিয়ে করা উচিত। ভালো কাজ করার ক্ষেত্রে মানুষের প্রতিযোগিতা করা উচিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তোমরা ধাবমান হও স্বীয় প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে এবং সেই জান্নাতের দিকে, যার বিস্তৃতি আসমান ও জমিনের মতো, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে আল্লাহভীরুদের জন্য।’ (সূরা আলে ইমরান, আয়াত, ১৩৩)
আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমরা বলেন, মুমিন নিষ্ঠাপূর্ণ তাওবা, পাপ পরিহার, ভালো কাজে প্রতিযোগিতা, আল্লাহ সন্তুষ্ট হন এমন কাজগুলো, ইবাদতে একাগ্রতা, সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহের মাধ্যমে আল্লাহর ক্ষমা, সন্তুষ্টি ও জান্নাতের পথে অগ্রগামী হয়ে থাকে।
যে ব্যক্তি ভালো কাজ করে বা কোনো ভালো কাজের রীতি চালু করে তার জন্য বিশেষ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এক হাদিসে হজরত ওয়াছেলা বিন আসকা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজ বা নিয়ম চালু করবে এরপর যতক্ষণ পর্যন্ত সে অনুযায়ী আমল হবে সে তার সওয়াব পেতে থাকবে তার জীবদ্দশায় এবং তার মৃত্যুর পরও। যতদিন না সে কাজ বন্ধ না হয়ে যায়।
আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজ চালু করবে, সেই কাজ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সে তার পাপের ভাগ পেতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি মুসলিম দেশের সীমানা পাহারা দেওয়ার সময় মারা যাবে, সে সে পাহারারত (জীবিত) মুজাহিদের সমান প্রতিদান পেতে থাকবে (কিয়ামতের দিন) পূণরুত্থান হওয়ার আগ পর্যন্ত। (তারগিব, হাদিস, ৬৫)
সাহল বিন সাদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কল্যাণ বা নেককাজগুলো হচ্ছে ভাণ্ডারের মতো। প্রত্যেক ভাণ্ডারের চাবি আছে। সুসংবাদ সে ব্যক্তির জন্য, যাকে আল্লাহ তায়ালা কল্যাণের চাবি ও অকল্যাণের তালা বানিয়েছেন। আর দুর্ভাগ্য সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ যাকে অকল্যাণের চাবি ও কল্যাণের তালা বানিয়েছে। (তারগিব, হাদিস, ৬৬)
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: