ভয়াবহ এই বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ দোয়া করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (১৪ মে ) সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির ছিলেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারি কাজী মাসুদুর রহমান। নামাজে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন।
নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। মোনাজাতে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে হাজার হাজার মুসল্লি। এতে ইমাম করোনাভাইরাস থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। 'আমিন আমিন' ধ্বনিতে মুখরিত হয় পুরো ঈদগাহ।
এর আগে নামাজের আগে দুর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা বায়তুল মোকাররম মসজিদে আসতে শুরু করেন। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেকেই বাইরে নামাজ পড়েন। মসজিদের প্রবেশপথে জীবাণুনাশক স্প্রের ব্যবস্থা ছিল। যাদের মুখে মাস্ক ছিল না তাদেরকে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। মুসল্লিরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জামাতে অংশ নেন। তবে সামাজিক দূরত্ব মানতে অনেকের মধ্যে অনীহা দেখা যায়।
এবারো বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৭টায়। এর পর দ্বিতীয়টি সকাল ৮টায় ও তৃতীয়টি সকাল ৯টায়। চতুর্থটি হবে সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম বা শেষ জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, মুসল্লিরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করার কথা। একটি কাতার বাদ দিয়ে অন্য কাতারে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মসজিদের প্রবেশ পথে হ্যান্ড সানিটাইজার রয়েছে। অজুখানায় রয়েছে পর্যাপ্ত পানি ও সাবান। মুসল্লিদের আহ্বান জানানো হয়েছে তাঁরা যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন এবং মাস্ক পরে মসজিদে প্রবেশ করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: