রাজনীতিমুক্ত থাকবে কওমি মাদরাসা

সময় ট্রিবিউন | ২৬ এপ্রিল ২০২১, ০৬:৩৮

ছবি: ইন্টারনেট

প্রচলিত সবধরনের রাজনীতি থেকে মুক্ত থাকবেন কওমি মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকরা।রোববার (২৫ এপ্রিল) আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া মাদরাসায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কওমি অঙ্গনে বিরাজমান অস্থিরতা থেকে ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাব্যবস্থার সুরক্ষা এবং ওলামায়ে কেরামের শান ও মান বজায় রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় নানামুখী দ্বীনি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ নিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান।পরে অফিস সম্পাদক মুহাম্মদ অছিউর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, কওমি মাদরাসা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেবে একমাত্র আল-হাইআতুল উলয়া।

আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন এক বা একাধিক বোর্ড কিংবা কোন সংগঠন বা ব্যক্তি আল-হাইআতুল উলয়ার সিদ্ধান্ত ব্যতীত পৃথকভাবে কওমি মাদরাসা বিষয়ক কোনো সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ বা উদ্যোগ নিতে পারবে না।

আল-হাইআতুল উলয়ার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য এবং কওমি মাদরাসা সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও তত্ত্বাবধানের জন্য আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন ৫ বোর্ডের ৫ জন, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া থেকে ৫ জন এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত ৫ জন সমন্বয়ে সর্বমোট ১৫ জনের একটি বাস্তবায়ন সাব-কমিটি গঠিত হবে।

তিনি আরও জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কওমি মাদরাসার যেসব নিরীহ ছাত্র, শিক্ষক, আলেম-ওলামা, ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিদের গ্রেফতার করা হয়েছে, রমজান মাস বিবেচনায় সরকারের কাছে তাদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, রমজান কোরআন তেলাওয়াতের মাস। কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বালা-মুসিবত ও মহামারি দূর হয়। তাই রমজানের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিফজ ও মক্তব বিভাগ খুলে দেওয়ার জন্য এবং রমজানের পর কওমি মাদরাসার শিক্ষাকার্যক্রম চালু করার জন্য সরকারের কাছে বিশেষভাবে আবেদন করা হয়।

আল-হাইআতুল উলয়ার এ সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করার জন্য ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সদস্যরা হলেন, মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মুফতি জসীমুদ্দীন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জী, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা ছফিউল্লাহ, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি জসীমুদ্দীন। বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার সভাপতি মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মহাসচিব মাওলানা শামসুল হক, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের সভাপতি মাওলানা সুলতান যওকের প্রতিনিধি মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা উবায়দুল্লাহ হামযাহ, আযাদ দীনী এদারায়ে তালীমের সভাপতি মাওলানা জিয়াউদ্দীনের প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছীর, তানজীমুল মাদারিসের সভাপতি মাওলানা মুফতি আরশাদ রাহমানী, মহাসচিব মাওলানা ইউনুস এবং জাতীয় দীনী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মহাসচিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর