নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার নির্লিপ্ত। ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো রকম যে দায়িত্ব আছে সেটি তারা মনে করে না। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দয়ামায়া নেই। তাই আজকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আয়ের তুলনায় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উল্লম্ফন ঘটায় মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ নীরবে আর্তনাদ করছে। ঘরে ঘরে চলছে বোবা কান্না। সংসার চালানোই এখন দায় হয়ে পড়েছে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে মধ্যস্বত্বভোগীরা যারা লাভবান হচ্ছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগার বা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। বাজারে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। তাদের নজর লুটপাটে। বর্তমানে এক শাসরুদ্ধকর দুঃসহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে দেশের মানুষের জীবন। রাষ্ট্রীয় লুটেরা দস্যুদের পায়ের তলে অশ্রুপাত করছে মানবতা।
রিজভী বলেন, করোনার অভিঘাতে মানুষের আয় রোজগারে যখন টানাপড়েন অবস্থা তখন হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারদর। খাদ্যদ্রব্য, চাল, ডাল, তেল, লবণ, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, তরিতরকারি, মাছ-মাংস, পোলট্রি মুরগি, ডিম, চিনি, দুধ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য দ্রব্যগুলোর মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিন এবং ক্রমে এসব পণ্য সংগ্রহ অসম্ভব হচ্ছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলোর জন্য। ‘পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিলও বৃদ্ধি করা হয়েছে পাল্লা দিয়ে। গতকালও এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর পেছনে রয়েছে সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে আওয়ামী লীগের কালোবাজারি, মুনাফাখোর, মজুতদার সিন্ডিকেট।’
তিনি আরও বলেন, বর্গীরা যেমন আগে বাংলাদেশে আসত, লুট করত আর চলে যেত। এরাও ঠিক একইভাবে লুট করছে। বিদেশে তাদের বিত্ত তৈরি করছে এবং সেখানে দেশের সম্পদের পাহাড় গড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী নিজেরাই ব্যবসায়ী এবং এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: