ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কোভিড-১৯ থেকে পুনরুদ্ধারের কৌশল হিসেবে বাংলাদেশ অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দিয়েছে। নিম্ন-কার্বন ব্যবহার পদ্ধতির ওপর জোর দিয়ে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনীতির উন্নয়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন এবং ইতালির সংসদের যৌথ উদ্যোগে ইতালির রোমে আয়োজিত ‘প্রি-কপ২৬ পার্লামেন্টারি মিটিং’ শীর্ষক আলোচনা সভার ‘গ্রিন এপ্রোচেস টু কোভিড-১৯ রিকভারি’ সেশনে স্পিকার এসব কথা বলেন।
এ সময় ইতালির সংসদ ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রতি এমন একটি আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান স্পিকার। সভায় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, দীপংকর তালুকদার ও জাফর আলম অংশ নেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, কোভিড-১৯ উত্তরণে বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত, জলবায়ু সহনশীল এবং টেকসই উন্নয়নমূলক পদক্ষেপের দিকে মনোনিবেশ করেছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা ছাড়া অর্থনীতির এ পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে অপরিকল্পিত বিনিয়োগ ও পদক্ষেপ চলমান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে পরিবেশের অবনতি এবং জলবায়ুর ক্ষতি ঘটাতে পারে। এজন্য কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে পরিবেশ ও জলবায়ু সহনশীল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের অফ-গ্রিড গ্রামীণ এলাকায় ইতোমধ্যে প্রায় ৬.২ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে, যা ওইসব এলাকার মানুষের বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করছে। সরকার মিনি গ্রিড সৌর সেচ এবং রুফটপ সোলার সিস্টেম ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: