যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা পেল বাংলাদেশ। এ টিকা হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তার দেশ বাংলাদেশে আরও কোভিড টিকা প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এটি এধরণের শেষ উপহার নয়। শিগগিরই আরও টিকা আসবে বলে আমরা আশা করছি।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ১০ লাখ ফাইজার টিকা গ্রহণ করেন। মডার্নার দশ লাখ ডোজ টিকা আসার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা মোট টিকার সংখ্যা দাঁড়াবে ৬৫ লাখ ডোজ।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে ফাইজারের কোভিড-১৯ টিকার ১০ লাখ ডোজ আগমনকে স্বাগত জানান। বিশ্বব্যাপী ফাইজার টিকা ক্রয় ও দান করার মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দান করেছে।
মিলার বলেন, ১০ লাখ কোভিড-১৯ টিকা জীবনরক্ষাকারী অনুদানকে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। বাংলাদেশের জনগণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং এর জনগণের পক্ষ থেকে এটি একটি উপহার।
তিনি আরও বলেন, ফাইজার টিকার এই চালান বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে এবং মারাত্মক করোনাভাইরাস থেকে বাংলাদেশীদের রক্ষা করার চলমান প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এই অনুদান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফাইজার টিকা ক্রয় ও অনুদানের জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতিশ্রুতি পূরণের একটি অংশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি বলেন, টিকাদান বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বৃহত্তর অংশীদারিত্বের একটি অংশ মাত্র, যুক্তরাষ্ট্র এ দেশে কোভিড-১৯ সহায়তার বৃহত্তম দাতা, যা এখনও পর্যন্ত কেবল মাত্র ৬৫ লাখ ডোজ, কিন্তু মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ৯৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অবদান রাখছে।
মিলার বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় টিকাদান কার্যক্রম শক্তিশালী করার জন্য ফাইজার টিকাগুলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পৌঁছেছে এবং যত বেশি সম্ভব মানুষের বাহুতে টিকা দেওয়ার প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র ঢাকার সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে গর্বিত।
তিনি বলেন, এই মহামারী যতই চ্যালেঞ্জিং হোক না কেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি।
গত পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে মিলার বলেন, আজ আমাদের অংশীদারিত্ব আগের চেয়ে শক্তিশালী। আমরা একসঙ্গে কোভিড-১৯- কে পরাস্ত করার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী কোভেক্স উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য ২ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে, অতিরিক্ত ২ বিলিয়ন ডলারের অঙ্গীকার দিয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ টিকা প্রাপ্তির জন্য বিশ্বের বৃহত্তম দাতা করে তুলেছে।
টিকা অনুদান ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাকরণ প্রচারণাকে সমর্থন করতে এবং মহামারীর প্রতি সরকারের প্রতিক্রিয়া জোরদার করতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: