২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা রয়েছে স্বপ্নের সেতুটির।২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছিল। একইসঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে ও রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো শেষ হলো। নির্মাণ কাজের আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো পদ্মা সেতু।
ফলে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে যাচ্ছে সড়কপথ। সেতুর মোট দুই হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্লাবের মধ্যে বসানো হয়েছে দুই হাজার ৯১৪টি। বাকি মাত্র তিনটি স্লাব বসানোর কাজ। আজ সোমবার শেষ হচ্ছে পদ্মা সেতুর রোডওয়ে স্লাব বসানোর কাজ। রোববার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শেষ তিনটি রোডওয়ে স্লাব বসানোর কাজ বাকি আছে। সেতুর ১২ ও ১৩নং পিলারের স্প্যানে শেষ তিনটি রোডওয়ে স্লাব বসানো হচ্ছে। রাতের মধ্যে দুটি স্লাব বসানো হয়ে যাবে। সর্বশেষ একটি রোডওয়ে স্লাব সোমবার সকালে বসানো হবে। সকাল ৯টা থেকে ১০টির মধ্যে শেষ রোডওয়ে স্লাবটি বসানোর প্রস্তুতি রয়েছে। ফলে সকালেই রোডওয়ে স্লাব বসানোর কাজ শেষ হচ্ছে।এর আগে চলতি বছরের ২০ জুন শেষ হয়েছিল দ্বিতল সেতুর রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজ।
সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত সেতু প্রকল্পের সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ মূল সেতুর কাজের আর বাকি মাত্র ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানো হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: