এখন থেকে পদ্মা সেতুর ১১ থেকে ১৪ নম্বর পিলারের মধ্য দিয়ে ফেরি চলাচল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি)।
পরপর চার দফায় পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগার পর ফেরি চলাচলে রুট নির্ধারণ করে দিল বিআইডব্লিউটিসি।
এ ছাড়া বাংলাবাজার ঘাট থেকে বের হয়ে মাগুরখণ্ড এলাকায় মূল পদ্মা নদীতে আসার পর ফেরি ওপরের দিকে তিন কিলোমিটার নেওয়ার বাধ্যবাধকতাও দেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ, সেনাবাহিনী ও সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পদ্মা সেতুর পিলারকে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান জানিয়েছেন, ১১, ১২, ১৩, ১৪ নম্বর পিলারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ফেরির চালকেরা মূলত ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া বাংলাবাজার ঘাট থেকে বের হয়ে মূল পদ্মায় আসার আগেই মাগুরখণ্ড চ্যানেল থেকে ওপরের দিকে (স্রোতের অনুকূলে) তিন কিলোমিটার যাওয়া নিশ্চিত করতে চ্যানেলের শেষ মাথায় একটি বয়া (আধুনিক বাতি যুক্ত) বসানো হয়েছে।
ওপরের দিকে তিন কিলোমিটার গিয়ে এল আকৃতির রুটে ফিরে পদ্মা সেতুর নিচে দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটের দিকে যাবে ফেরি। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর মাওয়া ঘাটের দিকে সেনাবাহিনীর একটি টহল স্পিডবোট মোতায়েন করা হয়েছে। ফেরির গতিপথ বুঝে চালককে আগেই সতর্ক করবে তারা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: