পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাণিজ্যিক চুক্তির পাশাপাশি বিদেশ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আসছে। আমাদের হাতে ১ কোটি ২৩ লাখ টিকা আছে। সামনে সপ্তাহে সিনোফার্মের ৩৪ লাখ টিকা আসছে। তার পরেই আসছে কোভিক্সের আওতায় ১০ লাখ টিকা। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফাইজারে টিকা আসবে ৬০ লাখ।
তিনি বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সিনোফার্মকে সাড়ে সাত কোটি টিকার অর্ডার দিয়েছি। এর মধ্যে দেড় কোটি ডোজের টাকা দিয়ে দিয়েছি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগামী দুই মাসের মধ্যে ৮ কোটি লোককে টিকা দেবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক আমাকে বলেছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দ্বিতীয় ডোজ দেবার জন্য আলাদা করে রাখা হবে।
ফাইজার জানতে চেয়েছে ৬০ লাখ টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা আমাদের আছে কিনা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
যৌথভাবে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সমঝোতা চুক্তির খসড়া চীন ১৬ জুলাই আমাদের দিয়েছে, সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল। আইন মন্ত্রণালয় সব দেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে। সেটি এখন সেখানেই আছে যে কোনো সময় চুক্তি হয়ে যাবে। সিনোফার্মের টিকা যৌথভাবে উৎপাদনের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যৌথ উৎপাদনের চুক্তি সইয়ের পর উৎপাদন শুরু করতে দুই মাস লাগতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ভারতও আশ্বাস দিয়েছে কিছুদিনের মধ্যেই তারও টিকা দেওয়া শুরু করবে। রাশিয়ার টিকা আনার জন্য যোগাযোগ চালু রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: