সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ায় গত সাত দিনে ৪ হাজার ১৮৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এর মধ্যে ১ জুলাই ৫৫০ জন, ২ জুলাই ৩২০ জন, ৩ জুলাই ৬২১, ৪ জুলাই ৬১৮ জন, ৫ জুলাই ৫০৯, ৬ জুলাই ৪৬৭ জন ও ৭ জুলাই ১ হাজার ১০২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ইফতেখারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ হাজার ৭৬৪ জনকে ৭ লাখ ৫২ হাজার ৬০টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানীজুড়ে পুরো এক সপ্তাহে ৩ হাজার ৪০৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয় এবং জরিমানা করা হয় ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৯২৫ টাকা।
তিনি বলেন, বুধবার সর্বোচ্চ ১ হাজার ১০২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৪৫ জনকে ১ লাখ ৭১ হাজার ৯৮০ টাকা জরিমানা করেছেন। বাইরে বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় ৮০৪টি গাড়ির মালিককে ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে চলাচলে রয়েছে বিধিনিষেধ। ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচলকারীদের কাগজপত্র পরীক্ষা করছে পুলিশ।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে র্যাবও মাঠে কাজ করছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
তিনি বলেন, লকডাউনের প্রথমদিন থেকেই র্যাবের সবগুলো ব্যাটালিয়নের সদস্যরা রাতদিন মানুষকে ঘরে রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখা সর্বোপরি মানুষ যেন ঘর থেকে বের না হয় সেজন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) বুধবার সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করছে। বুধবার ১৯৪টি চেকপোস্টে ২৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৯৩ জনের কাছ থেকে ১ লাখ ২৬০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই কঠোর বিধিনিষেধ।-বাসস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: