৭০ বছরের রেকর্ড ভাঙল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা বন্দর। বাণিজ্যিক জাহাজ আগমনের নতুন রেকর্ড গড়েছে। ৭০ বছরের রেকর্ড ভেঙে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯৭০টি বাণিজ্যিক জাহাজ এ বন্দরে নোঙর করেছে। এ সময়ে বন্দরে ১৪ হাজার ৪৭৪টি গাড়ি অবতরণ এবং ৪৩ হাজার ৯৫৯টি ব্যবহৃত কন্টেইনার জাহাজে খালাস ও বোঝাই হয়। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর মধ্যে মোংলা বন্দরের এমন জাহাজ আগমনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা। এদিকে এ বন্দরে গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে মোংলা বন্দরে জাহাজ ভিড়েছিল ৯০৩টি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯১২টি, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭৮৪টি এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬২৩টি। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মোস্তফা কামাল জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরের বন্দরে মোট জাহাজ এসেছে ৯৭০টি। বন্দর প্রতিষ্ঠার ৭০ বছরে এত জাহাজ বন্দরে আসেনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ী ও জনগণের কথা চিন্তা করে লকডাউনের মধ্যেও কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, মহামারী করোনার লকডাউনের মধ্যেও বন্দরের কার্যক্রম বেড়েছে। জাহাজ, কার্গো, গাড়ি ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে সব সূচক ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বন্দরের আয় স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। ভবিষ্যতে এই বন্দরের কার্যক্রম আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
করোনাকালেও নয়টি মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে এদিন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, বন্দর উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান তৈরির কাজ চলছে এবং এটি বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দর দেশের অর্থনীতি ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ব্যপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরে এই বন্দরে এক হাজারেরও অধিক জাহাজ আগমনসহ ৩৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে ব্রিটিশ বাণিজ্যিক জাহাজ দ্য সিটি অব লায়নস সুন্দরবনের মধ্যে পশুর নদীর জয়মনিরগোল নামক স্থানে নোঙর করে মোংলা বন্দরের সূচনা করে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: