খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধানে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। করোনাকালে ৪২ লাখ প্রান্তিক মানুষের কাছে স্বল্পমূল্যে খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মানুষের ক্ষুধা নিবারণ ও পুষ্টি নিশ্চিতকল্পে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আজ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টিনীতি ২০২০ পরিকল্পনার জাতীয় পর্যায়ের পর্যালোচনা ও ভ্যালিডেশন সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা পূরণকল্পে জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। পুষ্টি সংবেদনশীল খাদ্য ব্যবস্থা এ নীতির আলোকেই নিশ্চিত হবে। সাম্প্রতিককালে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে দেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নতিতে বড় অবদান আছে খাদ্য, কৃষি এবং মৎস ও প্রাণিসম্পদ খাতের। দেশে মানসম্পন্ন ও সুষম খাদ্যের প্রাপ্যতা বেড়েছে। পাশাপাশি খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে মানুষের সচেতনতাও বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে খাদ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে চলেছে। ভ্যালিডেশন কর্মশালায় গবেষক, ফুড স্পেশালিষ্ট এবং উন্নয়ন সহযোগীগণ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। এ মতামত নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনায় সহযোগিতা করবে বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুড প্ল্যানিং এন্ড মনিটরিং ইউনিটের মহাপরিচালক শহীদুজ্জামান ফারুকী। অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো: রুহুল আমিন তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের জাতিসংঘ অনুবিভাগ প্রধান ড. নাহিদ রশীদ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট সিম্পসন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ডেলিগেশন প্রতিনিধি এমাই যাবেলা, ইউএসএআইডির ড. ওসাজি ক্রিষ্টোফার আইমিউ, জেইনের ড. রুদাবা খন্দকার এবং এফবিসিসিআই এর ড. ফেরদৌসি বেগম মতামত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, গবেষক ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: