স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলো করোনা রোগীতে ভরে গেছে। রোগীদের সামাল দেওয়া কঠিন হচ্ছে। আমরা চাই না ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জেলায় এই সমস্যা দেখা দিক।
শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় নিজ বাসভবনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে টিকা কর্মসূচি এখনও পুরোপুরি চালু করতে পারিনি। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই টিকা পেয়ে যাবো। চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে টিকা পাবো এবং ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে সেখান থেকেও পাবো। কিন্তু এখনও তা পাওয়া যায়নি। টিকা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু একজন মানুষ সুরক্ষিত হয় না, আরও এক মাস সময় লাগে। ভারতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) আমাদের দেশেও এসেছে, এর সংক্রমণ ক্ষমতা ৫০ ভাগের বেশি। কাজেই এই সময়টা আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের, পরিবার ও দেশকে রক্ষা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখন সারাদেশের হাসপাতালে ১৫০০-এর মতো রোগী ছিল। সংক্রমণ বাড়ায় বর্তমানে সারাদেশে চার হাজারের মতো রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং প্রত্যেক দিন প্রায় চার হাজারের কাছে নতুন রোগী আক্রান্ত হচ্ছেন। এই হারে যদি রোগী বাড়ে, তাহলে হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জায়গা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, যেসব দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে নেই বা ছিল না সেসব দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের অর্থনীতি এখনও ভালো আছে। এখনও লোকজন কাজ করছে। কিন্তু করোনা যদি বৃদ্ধি পায়, যে লকডাউন হচ্ছে, এটি আরও বাড়ালে, যানবাহন বন্ধ করলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণেই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের কাজ করতে হবে। এর বাইরে কোনও সুযোগ নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন, বালিয়াটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমীন, ধানকোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল রউফ, সাটুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পিন্টু, তিল্লি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরসালিন বাবু প্রমুখ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: