বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজারে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও নিকটবর্তী বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এসবের কারণে আগামী তিনদিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
‘এজন্য দেশের নৌবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
আবহাওয়া কার্যালয় বলছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী সময়ের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছে এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আগামীকাল রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে ‘মাঝারি ধরনের ভারী’ থেকে ‘ভারী বৃষ্টি’ হতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও নিকটবর্তী বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরি হয়েছে। ফলে সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও নিকটবর্তী এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আজ ভোর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার দেশের সব অঞ্চলেই কমবেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে, ৭৪ মিলিমিটার। খুলনা বিভাগের অন্য অঞ্চলগুলোর মধ্যে যশোরে ৩৯ মিলিমিটার ও সাতক্ষীরায় ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
তবে বিভাগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বরিশালে। বিভাগটির ভোলায় হয়েছে ৭২ মিলিমিটার ও খেপুপাড়ায় ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি।
এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে টাঙ্গাইলে, ৩৮ মিলিমিটার। ময়মনসিংহের নেত্রকোনায় ২৫ মিলিমিটার, চট্টগ্রামের টেকনাফে ৭২ মিলিমিটার ও হাতিয়ায় ৪৪ মিলিমিটার, সিলেটে ২৩ মিলিমিটার এবং রংপুরের রাজারহাটে হয়েছে ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: