রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা নয়। উপযুক্ত শিক্ষা-প্রশিক্ষণ, দিক নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা প্রদানের মাধ্যমে তাদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। এক্ষেত্রে তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে যথাযথ সমর্থন ও সহায়তা প্রদান অত্যন্ত জরুরি।'
শুক্রবার (২ এপ্রিল) ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২১’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন তিনি।
বাণীতে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের বিত্তবান ও সচেতন ব্যক্তিবর্গের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২১ উপলক্ষে আমি দেশের সব অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তি, তাদের পরিবার এবং অটিজম নিয়ে কর্মরত ব্যক্তি ও সংগঠনসমূহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য “মহামারিত্তোর বিশ্বে ঝুঁকি প্রশমন, কর্মক্ষেত্রে সুযোগ হবে প্রসারণ” সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস অত্যন্ত জরুরি। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এসব জনগোষ্ঠীকে উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সমাজে পুনর্বাসন করতে হবে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সকল প্রতিবন্ধী মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন-২০১৩, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন-২০১৩ এবং এতদসংশ্লিষ্ট বিধিমালাসহ বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮ ও প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারের উদ্যোগে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য ইতোমধ্যে বিশেষ স্কুল, একীভূত স্কুল এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে শিশু বিকাশ কেন্দ্র এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে এনডিডি কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহকে এ বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সরকার বিশেষভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের এসকল উদ্যোগ অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিসহ সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের পাশাপাশি তাঁদের মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে আরও প্রসারিত করবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২১ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: