কোনো এলাকার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ হলে স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জন ও জনপ্রতিনিধিরা মিলে পুরো জেলা বা আংশিক এলাকায় লকডাউন দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে লকডাউনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘চিঠিটা এখনও পাইনি। অলরেডি ডেপুটি কমিশনার (ডিসি), সিভিল সার্জন, চেয়ারম্যান বা মেয়র; তাদের বলেই দেয়া আছে, যদি আপনারা মনে করেন কোনো জায়গা হার্মফুল (করোনা সংক্রমণের ক্ষতিকর মাত্রা) হয়, সেক্ষেত্রে আপনাদের কমফোর্ট অনুযায়ী এটা (লকডাউন) করে দিতে পারবেন। ইচ্ছা করলে স্থানীয় জেলা প্রশাসন লকডাউন ঘোষণা করতে পারবেন- তাদের আগেই বলে দেয়া হয়েছে। যেমন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, এটা কিন্তু ওখান থেকেই সাজেশন এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্যান্য ডিস্ট্রিক্টগুলোতে বলে দিয়েছি, যদি মনে করে পুরো ডিস্ট্রিক্ট না করে ওই বর্ডার এলাকা লকডাউন করতে হবে, সেটাও বলে দেয়া হয়েছে। যেভাবে উনারা সাজেশন দিবেন...। পাশাপাশি এতদিন ধরে লকডাউন, নর্থ বেঙ্গল এখন আমের একটা মৌসুম। এই সময়ে যদি পুরোপুরি লকডাউন তখন কী হবে। এগুলো বিবেচনায় আছে। তবে যদি হার্মফুল মনে করি তাহলে সেটা অবশ্যই....।’
কিছু জেলায় অক্সিজেন সংকট- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অলরেডি গত পরশুদিন ডিজি হেলথকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, জেলাগুলোয় যেন তাড়াতাড়ি অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন। আইসিইউ বা হাই ফ্লো অক্সিজেন কীভাবে করা যায়। অথবা মেডিকেল কলেজগুলোতে সিরিয়াস পেশেন্টগুলোকে আগে শিফট করার চেষ্টা করেন। আর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট হলে তাহলে তাদের আবার রাখার জন্য বলা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: