নির্বাচনের ফলাফলেই বিরোধী দল কে হবে সেটা বলে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কতগুলো আসন পাবে এবং বিরোধী দল কে হবে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন শেষ হলে এ বিষয়টা তখনি পরিষ্কার হবে। স্পষ্ট হবে। এ মুহূর্তে এ নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নাই। আমরা ইনশা আল্লাহ নির্বাচনে বিজয়ী হবো।
তিনি বলেন, কত আসন, সেটা এখন বলতে চাই না। মির্জা ফখরুলের মতো গণক হতে চাই না। ইলেকশনের রেজাল্টই বিরোধী দল কে হবে সেটা বলে দেবে।
নির্বাচন বিদেশিদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইলেকশনটা হতে দেন, গ্রহণযোগ্য হয়েছে কিনা বিদেশিরা বলবে। কাদের বলেন, বিএনপি তাহলে ইলেকশনটা মোর কম্পিটিটিভ হতো। এখনও কম্পিটিটিভ হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন ভিসানীতি আসবে না? আমরা এটা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চাই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপি নিজেই একটা ডামি দল। বাংলাদেশ ডামি দল হচ্ছে বিএনপি।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংস্কারের কথা বলতে গিয়ে গত ৩০ বছর কোনো দেশের সরকার তাদের সাংবিধানিক অধিকার অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে ছেড়ে দেননি।
তিনি বলেন, কনমওয়েলথ প্রতিনিধিদলকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে কমনওয়েলথের ব্যাপক আগ্রহ আমরা প্রত্যক্ষ করছি। তারা একটি ভালো নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, ওআইসির একটি প্রতিনিধি দল এখানে এসেছে, তারা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে একটি পর্যবেক্ষক টিম আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তারা নির্বাচন নিয়ে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
কাদের বলেন, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্বের প্রসংসা করেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইতোমধ্যে অনেক বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক বাংলাদেশে এসেছেন। আমরা আশা করব, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যার সঠিক চিত্র সাংবাদিকরা তুলে ধরবেন।
এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, কোনো অপশক্তি যেন কোনো হামলা, সহিংসতা করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। পাহারায় থাকতে হবে।
ভোটারদের প্রতি সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে ও অন্যকে ভোট দিতে উৎসাহীত করতে আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
ভোটের দিন হরতাল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হরতাল আন্দোলনে মরচে ধরা হাতিয়ার। বিএনপি এটা আগেও করেছে। কোনো লাভ নেই।
তিনি বলেন, কেন্দ্রে আনার জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নেই। আমাদের কর্মীরা, সব সময় দেখা যায়, ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, কেন্দ্রে আনা এটার নেতাকর্মীদের টিম আছে। তারা সে কাজ করবে। বেশির ভাগ ভোটার স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসবে। এটা বিএনপির হরতাল অবরোধের সময় কয়েকদিন আগেও আমরা দেখলাম। হরতালের দিন ঢাকা শহরে যানজট আরও বেশি।
তিনি বলেন, গ্রাম-শহর আমি ওইভাবে পার্থক্য করি না। আমি শুধু একটা কথাই বলবো টার্নআউট সন্তোষজনক হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: