বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আজ উপকূল অতিক্রম করে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়তে পারে। এদিকে ‘মিগজাউম’-এর প্রভাবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইতোমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাইরে বের হওয়া মানুষ।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদফতরের ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ গত মধ্যরাত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার, দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৫ ডিসেম্বর ভোররাত নাগাদ নিলর ও মাসুলিপট্টমের নিকট দিয়ে ভারতের অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, মঙ্গলবার ভোরে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। তবে বাংলাদেশে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে এর প্রভাবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমে আসবে। শীতের আমেজও পাওয়া যাবে।
চলতি বছরে উত্তর ভারত মহাসাগরে সৃষ্টি হওয়া অষ্টম ঘূর্ণিঝড় এটি। গত ১৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে এ বছর।
দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ সংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে এগিয়ে চলেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। গত ৬ ঘণ্টায় উত্তর তামিলনাড়ু উপকূল থেকে ৭ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতোমধ্যে প্রবল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুর চেন্নাইসহ উপকূলবর্তী সাত জেলায়। বন্ধ রাখা হয়েছে চেন্নাই বিমানবন্দর।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: