আগামী ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আচরণবিধি দেখতে আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) থেকে মাঠে নামছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। ভোটের দু’দিন পর পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যবস্থাপনা শাখা। ইসি সূত্র জানিয়েছে, মোবাইল কোর্ট আইনের আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভোটের দু’দিন আগে থেকে ভোটের দিন ও ভোটের পরের দিন পর্যন্ত (৫ থেকে ৯ জানুয়ারি) ৫ দিনের জন্য থাকবে আরও নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম। এরমধ্যে নির্বাহী হাকিমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত স্ট্রাইকিং ও মোবাইল ফোর্সের সঙ্গে থাকবেন।
ইসি সূত্রে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে নির্বাচনের আগে বরাবরের মতো দ্বাদশ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইঙ্গিত রয়েছে। সব মিলিয়ে এবার নির্বাচনে সাড়ে ৭ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রাখার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, নির্বাহী হাকিমরা প্রতি উপজেলায় একজন, তবে ১৫টি ইউনিয়নের অধিক (পৌরসভাসহ) ইউনিয়ন বিশিষ্ট উপজেলায় দুজন, জেলা সদরের এ ক্যাটাগরির পৌরসভায় একজন, তবে ৯ ওয়ার্ডের অধিক হলে দুজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটিতে ১০ জন, খুলনা সিটিতে ছয়জন, গাজীপুর সিটিতে চারজন, অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে নির্বাহী হাকিম নিয়োগ নিয়োজিত থাকবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: