তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে দেশ বদলে গেছে। আকাশ থেকে শহর চেনা যায় না। কুঁড়েঘর, মেঠোপথ আর নেই, খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। আমাদের চলচ্চিত্র জগতের প্রতি আহবান, আপনারা এই বদলে যাওয়া বাংলাদেশকে তুলে ধরবেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ২০২২ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো থেকে জুরি বোর্ড নির্বাচিত ২৭ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেশের ওপর আজ শকুনের শ্যেনদৃষ্টি পড়েছে, সেই থাবা ও অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দেশরক্ষায় প্রয়োজন একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব। আর সেই বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে পারে চলচ্চিত্র।
হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন বদলে গেছে, চলচ্চিত্রও পিছিয়ে নেই, ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক 'মুজিব-একটি জাতির রূপকার' দেশের ১৫৮টি হলে ২০০ পর্দায় চলেছে, ভারতে ৫০০ হলের ৬০০ পর্দায় মুক্তি পেয়েছে। বিগত বছরে ঢাকার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে বিশ্বের ২২টি দেশে। তাই শুধু দেশে নয়, বিশ্ব অঙ্গনেও সম্মানের আসন করবে আমাদের চলচ্চিত্র।
ড. হাছান তার বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, 'জাতির পিতা শেখ মুজিব শুধু স্বাধীন রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠা করেননি, বাঙালি শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশেও তিনি ছিলেন সদানিবেদিত প্রাণ। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালে প্রাদেশিক পরিষদে বিল উত্থাপনের মাধ্যমে ঢাকায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করে এ দেশে সিনেমার প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। সেই চলচ্চিত্র আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে এবং পরবর্তীতে দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে।'
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন, সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে এক হাজার কোটি টাকার সহজতম ঋণ তহবিল গঠন করেছেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এ বার্ষিক আয়োজনে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং সিনিয়র সচিব মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাগত বক্তব্য দেন। শেষে চলচ্চিত্র অঙ্গনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও ‘পরাণ’ যুগ্ম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, চঞ্চল চৌধুরী শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এবং জয়া আহসান ও রিকিতা নন্দিনী শিমু যৌথভাবে ২০২২ সালের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: