বাংলাদেশের মানবাধিকার রেকর্ড পরীক্ষা-নিরীক্ষা (এক্সামিন) করবে জাতিসংঘ। আগামী ১৩ নভেম্বর সোমবার জেনেভায় অনুষ্ঠেয় মিটিংয়ে এই যাচাইকরণ করবে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কাউন্সিলের ইউনিভার্সেল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর)।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের ওয়েবসাইটে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। তা ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। যার ওয়েব লিংক https://media.un.org/en/asset/k1x/k1xoo0ty90। এই পর্যালোচনা যাচাই হবে জেনেভায় রুম-২০, প্যালেস ডেস ন্যাশনসে।
এতে বলা হয়েছে, ৬ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপ ১৪ দেশের মানবাধিকার পর্যালোচনা বা রিভিউ করছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় রিভিউ সম্পন্ন হয় যথাক্রমে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ২০১৩ সালের এপ্রিলে এবং ২০১৮ সালের মে মাসে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৪৭ সদস্য দেশ নিয়ে গঠিত ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপ।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের প্রতিটিই একটি দেশের রিভিউতে অংশ নিতে পারে।
এতে তিনটি ক্যাটাগরিতে রিভিউ করা হবে।
ক. জাতীয় প্রতিবেদন-পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্রের দেওয়া তথ্য।
খ. নিরপেক্ষ মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও গ্রুপ, যা স্পেশাল প্রসিডিউর নামে পরিচিত, মানবাধিকার চুক্তিবিষয়ক সংস্থা এবং জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার দেওয়া রিপোর্টের তথ্য।
গ. জাতীয় মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিষ্ঠান, আঞ্চলিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজের গ্রুপসহ অন্য অংশীদারদের দেওয়া তথ্য।
উল্লেখ্য, ইউপিআর হলো জাতিসংঘের ১৯৩ রাষ্ট্রের সবার মানবাধিকার পর্যালোচনাকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন। ২০০৮ সালের এপ্রিলে প্রথম এর মিটিং হয়। তার পর থেকে ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের পর্যালোচনা করা হয়েছে তিনবার। রাষ্ট্রগুলো পূর্বের শুনানিতে যেসব সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা সাম্প্রতিক মানবাধিকার রিপোর্টে কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে তা যাচাই করে দেখা হবে।
এতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন আইন, বিচার ও পার্লামেন্টবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বাংলাদেশের পর্যালোচনাকারী হিসেবে যে তিনটি দেশ র্যাপোর্টিউর হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছে। তারা হলো— কিউবা, পাকিস্তান ও রোমানিয়া। এতে বাংলাদেশের জন্য যেসব সুপারিশ করবে ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপ তা বুধবার, ১৫ নভেম্বর স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে গৃহীত হওয়ার শিডিউল আছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: